দুর্গাপুজো শেষে শহরের সৌন্দর্য ম্লান হতে না দেওয়ার জন্য পুরসভা হোর্ডিং সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞাপন ফি’র অতিরিক্ত জরিমানা আজকের রাজনৈতিক নাটকের একটি সামান্য মুখরোচক পর্ব। সত্যিই, ঢাকের আওয়াজ কম, কিন্তু নেতাদের মঞ্চে চমক নেই—বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো সরকারও সমস্যার বক্তব্যে এই বাঁশের কাঠামোর নীচে লুকিয়ে পড়েছে।
দুর্গাপূজোর পর কলকাতার নিস্তব্ধতা: বিজ্ঞাপন হোর্ডিং এবং পুরসভার অব্যবস্থাপনা
দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার পর কলকাতার বিভিন্ন স্থানে এক ধরনের নিস্তব্ধতা প্রকাশ পাচ্ছে। পুজোর আনন্দ যেভাবে বিদায় নিল, তাতে শহরের সৌন্দর্য এখনো আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। পুজোমণ্ডপ বন্ধ হলেও, শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো বিজ্ঞাপন হোর্ডিংগুলো যেন এক সংখ্যার নীরব প্রতিবাদ। প্রশ্ন উঠছে, এই বিজ্ঞাপন হোর্ডিংগুলো আমাদের শহরের সৌন্দর্যকে কতটুকু প্রভাবিত করছে? শুধুমাত্র দর্শনীয় স্থান পূর্ণতা পায় যখন তা পরিষ্কার ও সুসজ্জিত থাকে।
প্রশাসনিক উদ্যোগ: জরিমানা এবং কার্যক্রম
এখনই সময় প্রশাসনিক পদক্ষেপের! পুরসভার কর্মীরা এই বিজ্ঞাপন হোর্ডিংগুলো অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। প্রশাসনের বক্তব্য, শহরের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য এটি অত্যাবশ্যক। তবে প্রশ্ন উঠছে, এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? এখন কি বাতাসে জরিমানার তাণ্ডবের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে? বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ত্রাস ও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে; ইতোমধ্যেই জরিমানা সংক্রান্ত নোটিশ তাদের কাছে পৌঁছে গেছে।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া: সচেতনতা বা সমালোচনা?
শহরবাসীদের মধ্যে এই উদ্যোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, “পুরসভা যথাসময়ে কাজ করছে।” আর কেউ বলছেন, “মানুষের অভিযোগ প্রশাসনের উপর বাড়তি।” প্রশাসনের কার্যক্রম রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত নয়, যা বর্তমান সরকার ভালোভাবে বুঝতে পারছে। বিরোধী নেতৃবৃন্দও সমালোচনা করছেন, “পুরো শহর কি যথাযথভাবে ‘বিজ্ঞাপন-নিয়ন্ত্রণ’ করতে পারবে? যারা নিজেদের কাজ করেনা, তারা প্রশাসনের পরিবর্তন আনতে পারবে কি?”
নেতৃত্বের দুর্বলতা: সমাজের প্রতিচ্ছবি
রাজনৈতিক দুর্বলতা ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। শহরের সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা কার্যত অদৃশ্য! সত্যিই কি প্রশাসন নতুন ধারার পরিবর্তন নিয়ে আসবে, নাকি অন্য ধরণের আশাবাদে অপেক্ষা করবে?
নাগরিক সচেতনতা: পরিবর্তনের সম্ভাবনা?
বর্তমানে নাগরিক সচেতনতা বাড়ছে। সাধারণ জনগণ সরকারকে দোষারোপ না করে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি করে তারা কি নিজেদের অধিকারে সমর্থন করবে? সমাজের মানুষ মনে করছেন, পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী এবং গতিশীল, আর এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।
অতএব, দুর্গাপূজার উত্তাপ ফুরিয়ে গেলে আমরা দেখব, শহরের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রশাসনের কার্যক্রম কিভাবে আমাদের নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে, প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, এই পরিবর্তন আমাদের স্বাধীনতার নতুন পাঠ শেখার দিকে অগ্রসর হবে—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।