সিঙুরের চাষিরা বলছেন, ‘সরকারের জমি আবাদি দাবিতে ভরতাভাস, প্রকৃতির সঙ্গে খেলছে রাজনীতি!’

NewZclub

সিঙুরের চাষিরা বলছেন, ‘সরকারের জমি আবাদি দাবিতে ভরতাভাস, প্রকৃতির সঙ্গে খেলছে রাজনীতি!’

সিঙুরের চাষিরা মুখ খুলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে জমিকে চাষযোগ্য বলছে, তা আসলে ভুয়ো। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে কিছু জমিতে ভুট্টা করেই কি কৃষির জয়গান গাওয়া যায়? এই নাটকে কৃষকদের দুঃখ যেন ছন্নছানার মতো, আর সরকারের গৌরবগাথায় জড়িয়ে আছে কেবল হাওয়া।

সিঙুরের চাষিরা বলছেন, ‘সরকারের জমি আবাদি দাবিতে ভরতাভাস, প্রকৃতির সঙ্গে খেলছে রাজনীতি!’

সিঙুরের কৃষক আন্দোলন: সরকারের দাবি ও কৃষকদের প্রতিক্রিয়া

বাংলার সিঙুর অঞ্চলে সম্প্রতি কৃষকদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দাবি করেছে যে সিঙুরের জমি চাষযোগ্য হয়ে উঠেছে এবং সেখানে চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছেন, সরকারের তথ্য মিথ্যা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করে সরকার সেই জমিকে চাষযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করছে। আসুন, কৃষকদের এ বিষয়ক বাস্তবতা তুলে ধরি।

সরকারের দাবি বনাম কৃষকদের কষ্ট

কৃষকদের মতে, বর্তমান সরকারের দাবির অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য রাজনৈতিক লাভ। সরকারের প্রচারণায় বিদেশী কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য জমি বিক্রির প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা হচ্ছে। ‘চাষযোগ্য’ এই স্লোগান কৃষকদের আন্দোলনকে দমনের একটি কৌশল হিসেবেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারা বলছেন, জমির প্রকৃত পরিস্থিতি মনোযোগের অভাবে পড়েছে।

নতুন রাজনৈতিক কৌশল: জনগণের প্রতিক্রিয়া

কৃষকদের এই অসন্তোষ সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে কৃষি রাজনৈতিক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু, সেখানে কৃষকদের প্রতিবাদ সরকারের জন্য এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বলছেন, ‘আমরা মিথ্যা কথায় আটকে থাকতে পারি না।’

মিডিয়ার ভূমিকা ও সমাজে প্রতিক্রিয়া

মিডিয়া এই আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সরকারের দাবি ও কৃষকদের কষ্ট উভয়ই স্থান পাচ্ছে। কিছু সংবাদপত্র সরকারের পক্ষ নিয়ে খবর প্রকাশ করছে, আর কিছু কৃষকদের সমস্যাগুলো তুলে ধরছে। এই দ্বন্দ্বে জনসাধারণের মনোভাব কীভাবে পাল্টে যাচ্ছে, সেটি এখন দেখার বিষয়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের পূর্বাভাস বর্তমানে সমাজে স্পষ্ট।

ভবিষ্যতের রাজনৈতিক অবস্থান

এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক চিত্রের মৌলিক পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিভাবে এই কৃষক আন্দোলনকে মোকাবেলা করবে, সেটি ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৎ নেতার দিকে যদি সরকার ফিরে যায়, তবে কৃষকদের সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে রাজনৈতিক নেতাদের কার্যক্রম সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর পক্ষে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

নতুন রাজনৈতিক প্রবাহের সূচনা

সিঙুরের কৃষক আন্দোলন শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, বরং দেশের কৃষক আন্দোলনের জন্য একটি নতুন দিশা প্রদান করতে পারে। আসুন তুলে ধরি, এই রাজনীতির প্রবাহ সত্যি কি শক্তিশালী হয়ে উঠবে বা অস্থির অবস্থায় স্থিতিশীল হবে। জমির অধিকার, কৃষকদের দাবি এবং সরকারের দায়বদ্ধতা — এই বিষয়গুলো আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের essenciais অংশ।

মন্তব্য করুন