ঢাকার পরিপ্রেক্ষিতে, ইএম বাইপাস লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজি ফাটানোর অভিযোগের ঢেউ উঠেছে, যা গত রবিবারের পর ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। সমাজের এ পৃষ্ঠপোষকতা,Governance এর দুর্বলতা, এবং রাজনৈতিক নেতাদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বাজির আওয়াজে কি জনগণের আসল সমস্যা চাপা পড়ছে, নাকি এই শব্দই সরকারের নীরবতার প্রতিবিম্ব?
বাজি ফাটানোর ‘উৎসব’: কলকাতার রাজনীতির নতুন বিতর্ক
কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে বাজি ফাটানো নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইএম বাইপাস সংলগ্ন উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম, পাটুলি, বালিগঞ্জ, পঞ্চসায়র এবং ভবানীপুরসহ একাধিক এলাকায় গত রবিবার থেকে বাজির আওয়াজ ওঠা শুরু করে। এই ঘটনা শুধুমাত্র উৎসবের চিহ্ন নয়, বরং সরকারের শাসনতন্ত্রের উপর একটি গুরুতর আঘাত হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
সরকারের নৈতিকতার সংকট
প্রথাগত উৎসবের সময় বাজি ফাটানো একটি সাধারণ চিত্র হলেও, জটিল রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে পরিস্থিতি অশান্তি তৈরি করছে। তথাকথিত ‘শান্তির শহর’ কলকাতায় বাজি ফাটানো প্রমাণ করে দিয়েছে যে, রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শাসকদল কি তাদের স্বার্থ রক্ষায় সাধারণ নাগরিকের শান্তিকে অগ্রাহ্য করছে?
নেতাদের প্রতি জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংকটের চিত্র ফুটে উঠছে, আর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যেন দিন দিন বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের স্বার্থের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সাধারণ মানুষের অধিকার এবং ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে। এটি কি নেতাদের উদাসীনতা প্রকাশ করছে?
মিডিয়ার ভূমিকা এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি মিডিয়াতে এই বিতর্কপ্রবাহ অত্যন্ত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকগুলো মিডিয়া সদস্য বাজির উৎসবকে ‘নতুন রাজনৈতিক কৌশল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। সমাজের তলানিতে যারা আছেন, তারা কি এ সব খেলার মাধ্যমে নিজেদের মর্যাদা হারাচ্ছেন?
সমাজে পরিবর্তনের আহ্বান
সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের ওঠানামার মধ্যেও জনসাধারণের প্রতি তাদের দায়িত্ব যেন অক্ষুণ্ন থাকে। নতুন রাজনৈতিক পরিবেশ কি সত্যিই আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে? সেটা সময়ের উপর নির্ভর করছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, সাধারণ নাগরিক হিসেবে কি আমাদের থেমে গিয়ে সব কিছু দেখতে হবে? নাকি সময়মতো আমাদের অধিকার এবং শান্তির জন্য আওয়াজ তোলার সময় এসেছে? রাজনৈতিক বন্ধন ভেঙে আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি কি প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটাই এখন দেখতে হবে।
সারসংক্ষেপ
শেষমেশ, কলকাতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি কেবল বাজির আওয়াজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমাদেরকে মিলিত হয়ে এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একবার ভাবুন, আমরা কি সত্যিই পরিবর্তন আনতে সক্রিয় হবো, নাকি শুধু দর্শক হয়ে থাকবো?