অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুস্পষ্ট উচ্চারণে বলেছেন, রোগীরা হাসপাতালের দরজায় দাঁড়িয়ে অথচ ডাক্তারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় মুক্তির পথ খুঁজে পান না। অথচ, রাজনৈতিক মহলের টানাপোড়েনের মাঝে, কেউ যেন চেপে রেখেছে মানবিকতার চেতনা; বামেদের উদ্দেশ্যে ইশারা করে যেন তাঁর বাক্যটি সমাজের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে, যেখানে সেবার নাম বিক্রি হয় ক্ষমতার বাজারে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসহায় রোগীদের জন্য আহ্বান
বাংলা রাজনীতির অন্ধকারে, যখন চিকিৎসকেরা নিজেদের মানবিক মর্যাদা ও আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রশ্ন তুলছেন, তখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাসপাতালের ভর্তির শৃঙ্খলার অব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘রোগীরা হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু ভর্তি হতে পারছেন না। এটি চিকিৎসকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় প্রকাশ করে।’
রোগী সংকট ও চিকিৎসক আন্দোলন
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্বেগের মূল কারণ হলো—অনেক মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যখন চিকিৎসকদের মধ্যে আন্দোলনের হিড়িক चलছে। করোনা পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা সেবার শূন্যতা একটি প্রতিষ্ঠিত বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, যে চিকিৎসকেরা শিক্ষার তত্ত্ব ও প্রতিষ্ঠানের বাধাবিপত্তির কথা বলেন, তারা বাস্তবতার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না।
বামের বিরুদ্ধে অভিযোগ
গঙ্গোপাধ্যায়ের সূত্র অনুযায়ী, এই আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমান। তিনি নাম উল্লেখ না করেই বামদের প্রতি সূক্ষ্ম তির্যক মন্তব্য করেছেন, যা রাজনৈতিক বাড়াবাড়ির একটি ধারাবাহিক রূপ। তাঁর মতে, চিকিৎসকদের এ ধরনের আন্দোলন আসলে রাষ্ট্রের প্রতি এক প্রকারের প্রত্যাখ্যান, যেখানে বামদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে পড়ে।
রাজনীতি ও সমাজের ছাপ
যখন এই আন্দোলন যুব সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন—ডাক্তারদের এই আত্মনিবেদনের উদ্দেশ্য কী, অথবা এটি কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক নাটক? এসব প্রশ্ন সমাজের বিভিন্ন স্তরে আসছে, এবং সামাজিক মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়াও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবর্তনের একটি চিত্র প্রতিনিধিত্ব করে।
মৌলিক অধিকার বনাম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব
আমাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসা সেবা যে মৌলিক অধিকার, তার জন্য য® আন্দোলন হচ্ছে, তা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যে কেবল তাঁর স্বাক্ষরিত দৃষ্টি নয়, বরং সকল রোগীর প্রতি এক সমষ্টিগত সচেতনতা স্পষ্ট। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন—মানবতা সব ধর্মের ঊর্ধ্বে।
মিডিয়া ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
মিডিয়া যেভাবে এই ঘটনাকে উপস্থাপন করছে, তা সমাজের মানসিকতার একটি প্রতিফলন। তারা প্রশ্ন তুলছে, বাস্তবে কি রাজনৈতিক লড়াই সমাজের এই সংকট সমাধান করতে পারে? চিকিৎসক ও জনমতের মধ্যে বিভাজন একটি নতুন চিত্রায়ণে প্রতিফলিত হচ্ছে, যেখানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির নান্দনিকতা ফুটে ওঠে।
চূড়ান্ত উপলব্ধি
রাজনীতি যখন কামনার জালে বন্দী, তখন গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃত অর্থে চিকিৎসা সেবা মানুষের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। রোগী সেবার এই সংকট পুরো সমাজকে নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন করছে: ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ এবং ‘আমরা রোগীদের কীভাবে সেবা দেব?’ এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আমাদের সমাজ যেন প্রস্তুত নয়।