“ধর্মতলায় চিকিৎসকের অসুস্থতা: স্বাস্থ্য সেবায় বেহাল দশা, কোথায় সরকারী দায়িত্বশীলতা?”

NewZclub

“ধর্মতলায় চিকিৎসকের অসুস্থতা: স্বাস্থ্য সেবায় বেহাল দশা, কোথায় সরকারী দায়িত্বশীলতা?”

ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আবারও এক চিকিৎসকের হাসপাতালে ভরতির খবর নতুন এক রাজনৈতিক নাটকে রূপ নিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার তনয়া পাঁজা, যিনি গভীর সংকটে, আমাদের সভ্যতার নৈতিক রন্ধ্রে প্রশ্ন তুলছেন—শাসকের কর্তৃত্ব আর চিকিৎসকের মানবিক দায়িত্বের মাঝে কোথায় হারালো মানবতা? স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই অরাজকता, কি দেখাবে ভবিষ্যৎ?

“ধর্মতলায় চিকিৎসকের অসুস্থতা: স্বাস্থ্য সেবায় বেহাল দশা, কোথায় সরকারী দায়িত্বশীলতা?”

কলকাতার ধর্মতলায় চিকিৎসকদের আন্দোলন: সরকারের উদাসীনতার কালো ছায়া

গতকাল ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে চিকিৎসক তনয়া পাঁজা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হন। অসহ্য পেটের ব্যথা এবং মাথা ঘুরানোর কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। রক্তচাপ ওঠানামা করতে থাকে, যা সরকারের প্রতি চিকিৎসকদের সংকট ও উদাসীনতার প্রকাশ। জনতার জীবন কি সত্যিই এতটাই তুচ্ছ?

চিকিৎসকরা কি ভবিষ্যতের জন্য তরমুজের মত?

তনয়ার অসুস্থতা দেশের স্বাস্থ্যসেবার অব্যবস্থার এক বড় উদাহরণ। একদিকে আমাদের নেতারা ফেসবুকে লাইভ ভিডিও বানাচ্ছেন, অন্যদিকে চিকিৎসকরা নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। এটি এক অদ্ভুত সামাজিক সংকট, যেখানে চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র কাজের জন্যই নয়, বরং নিজেদের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

সমাজের প্রতিচ্ছবি: অমানবিক সংস্কৃতি

কেবল চিকিৎসক নন, আন্দোলনে জড়িত ছাত্র-ছাত্রীরা যে সরকারের প্রতি হতাশ হয়ে পড়েছে, সেটিও সমাজের অমানবিকতার চিত্র। চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষ কি কোনও আশা দেখতে পাবে? সরকার যদি চিকিৎসকদের প্রতি এভাবে উদাসীন থাকে, তবে মানুষের প্রত্যাশা একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। সমাজের উপর তাদের দায়িত্ব কি শুধুই এক হাস্যকর নাটক?

গভীর সংকট: গণতন্ত্রের বিভক্তি

রাজনৈতিক নেতাদের কর্মকাণ্ড যেন একটি রঙ্গমঞ্চের কাহিনি। একদিকে চিকিৎসকদের জীবন সংকট, অন্যদিকে সরকারের ভোট ব্যাংকের চিন্তা। চিকিৎসকরা যতটা সরাসরি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন, সরকার তাঁদের প্রতি ততটাই অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে; সমাজের এই দ্বন্দ্বের শেষ কোথায়? আলোচনা ও সভা-সমিতির পরেও মানুষের জীবন যেন শুধুই একটি সংখ্যা।

ভবিষ্যতের বার্তা: সবার জন্য নিরাপত্তা

এখন প্রশ্ন হলো, চিকিৎসক ও জনগণের মধ্যে এই দূরত্ব কি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করার নতুন আন্দোলন আনবে? পরিকল্পনার অভাব ও নিষ্ক্রিয়তা চলতে থাকলে সমাজের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে না। তনয়া পাঁজার অসুস্থতা আমাদের জন্য একটি আসল সতর্কবার্তা। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

শেষ কথা: আমাদের একতা এবং আওয়াজ

ডাক্তারদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য নয়; এটি সকল মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই। আমাদের উচিত সচেতন থাকা এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ানো। এটি গণতন্ত্রের প্রকৃত পরিচয়। তবে, সরকার যদি নির্বিকার থাকে, তাহলে সমাজের গতি কিভাবে এগিয়ে যাবে?

মন্তব্য করুন