কলকাতার ডেঙ্গি: শাসকের থেমে থাকা পদক্ষেপে জনগণের জীবন ঝুঁকির মুখে!

NewZclub

কলকাতার ডেঙ্গি: শাসকের থেমে থাকা পদক্ষেপে জনগণের জীবন ঝুঁকির মুখে!

প্রতি বছর কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে, যা সরকারের অসহায়ত্বের একটি দৃষ্টান্ত। রাজনৈতিক নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনধারণের জন্য একটি কার্যকরী পদক্ষেপ কবে আসবে, তা অজানা। নাগরিকদের ক্ষোভ সত্ত্বেও, রাজনীতির ক্রীড়নকরা যেন শুধুই পর্দার ওপরে নিজেদের নাচের তাল ধরছেন।

কলকাতার ডেঙ্গি: শাসকের থেমে থাকা পদক্ষেপে জনগণের জীবন ঝুঁকির মুখে!

ডেঙ্গি: সমস্যা কি, নাকি রাজনৈতিক সংকট?

প্রতি বছরের মতো, এ বছরেও বাংলায় ডেঙ্গির মশা ছড়াচ্ছে। তবে এ বিষয়টি এখন রাজনৈতিক নন্দনকাননের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কলকাতা এবং আশেপাশের জেলাগুলি অনুযায়ী, বাসিন্দারা প্রতি গ্রীষ্মে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু, সরকারের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে: তারা কি আসলেই কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে?

রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বজ্ঞান

রাজ্যের শাসকদল দাবি করছে, তারা উদ্যোগ এবং সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু বাস্তবে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি— এই পাঁচ জেলায় ডেঙ্গির আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তেই রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রতি বছরের মতো কেবল আশ্বাস দিচ্ছেন।

সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি

স্থানীয় গলির থেকে শহরের ঘন বসতিপর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভয় এবং অনিশ্চয়তার ছাপ স্পষ্ট। জনগণের মধ্যে আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিবর্তে সরকারের কার্যকলাপের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ। অনেকের প্রশ্ন, নির্বাচনের বছরে শুধুমাত্র প্রচারণায় সময় কাটানোর যুক্তি কী?

মিডিয়া ও জনসচেতনতা

মিডিয়া ডেঙ্গি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে, বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের সত্যতা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। ডেঙ্গি সম্পর্কিত সংবাদ মানুষের মধ্যে স্থায়ী সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারছে না, বরং এটি এখন রাজনৈতিক আলোচনায় পরিণত হচ্ছে।

বাস্তবতা বনাম রাজনীতি

রাজনীতির জালে অনেকেই সমাজের অবস্থার অবনতি দেখে silenced হয়ে পড়ছেন। প্রশ্ন উঠছে, কেন রোগের সাথে শুধু বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়? রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকার বা পরিকল্পনা ছাড়া, মানুষ বছরের পর বছর ডেঙ্গির সমস্যায় ভুগতে বাধ্য হচ্ছে।

শেষ কথা

বর্তমানে বাস্তবতা দারুণ সংকটাপন্ন। রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বের চাপের মধ্যে সাধারণ মানুষের উপকারের বিষয়টি খুবই দৃশ্যমান নয়। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত এই রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অন্তত নির্বাচনের পূর্বে। কিন্তু এই ব্যর্থতায় সমাজের পরিচয় হয়তো একটি নতুন ইতিহাস— ‘কিভাবে ডেঙ্গির মশা শাসকদের দুর্বলতার পরিচায়ক হয়ে দাঁড়াল?’

মন্তব্য করুন