কলকাতার চিকিৎসা কলেজের ঘটনার তদন্তে পুলিশ বেদের ঘর, মমতার প্রতি আনুগত্যে এত্ত দূর গিয়েছে যে, তৃণমূলের নেতারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। জনস্বার্থের বুর্জোয়া নাটকের মাঝে, সাধারনের নিরাপত্তা হারিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি, যে গদি ও গণতন্ত্রের চরিত্রে খোঁজে ফিরছে মানুষ, কিন্তু কোথাও নেই সূর্যের রেখা।
কলকাতায় মমতার আনুগত্য: রাজনৈতিক সংকটের সঠিক উপলব্ধি
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে একটি গম্ভীর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সুকান্তের কবিতার মতো, যেখানে প্রতিটি শব্দে একটি জীবন্ত চিত্র ফুটে ওঠে, সেখানে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। রাজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার তদন্তে পুলিশের আনুগত্য প্রকাশ যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা নিবেদন—এটি শুধু হাস্যকর নয়, বরং উদ্বেগের কারণও।
পুলিশ বনাম জনসাধারণ: একটি ভুল বোঝাবুঝি
তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বেশ কিছু সমালোচনা উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলেও সাধারণ মানুষের মনে তৈরি করেছে জনবিচ্ছিন্নতার নতুন অধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের রিপোটাররা একে শুধুমাত্র একটি দুর্ঘটনা বলছেন না, বরং এটি একটি সিস্টেমের ব্যর্থতা হিসেবেও তুলে ধরছেন।
সমাজের প্রতিফলন: মানুষের আবেগ
রাজনৈতিক দলের পুলিশী কর্তার ভূমিকার জন্য সমাজের একটি বড় অংশে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে, ‘এটি নিরাপত্তা কাদের জন্য?’ সমাজের সুধীজনদের মধ্যে মুখরোচক ব্যঙ্গ রয়েছে—“দরিদ্র মানুষের জন্য পুলিশ নেই, অথচ নেতাদের সুরক্ষায় পুলিশ তৎপর!” এটি কি সত্যিকার রাজনীতির অভাব নয়?
মিডিয়ার ভূমিকা: সত্য ও সঠিকতা
মিডিয়া কাল্পনিক গল্প বললেও জনগণের বিনোদন নিশ্চিত করে, কিন্তু তাদের আসল দায়িত্ব কী? যখন মিডিয়া পুলিশের এই আনুগত্যকে অন্ধভাবে সমর্থন করে, তখন নতুন ধরনের এক অন্ধকারের জন্ম নেয়। সাংবাদিকদের প্রশ্ন হলো, “প্রকৃত সত্যের পক্ষে কি এখনো কোনো কণ্ঠস্বর নেই?”
জনতা ও প্রশাসন: পরিবর্তনের অপেক্ষা
রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য যে আন্দোলনে জনগণ অপেক্ষা করছে, তা কি মুহূর্তেই হারিয়ে যাবে? সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও মনে করছেন, সংগঠনের দুর্বলতার কারণে সাধারণ মানুষের যন্ত্রণার মাত্রা যে বাড়ছে, সেই প্রশ্ন তুলছে—“শাসক দলের উদাসীনতা আমাদের কিসের অভিজ্ঞতা দিবে?”
শেষ কথা: সমাজ কি খুঁজছে?
প্রশাসনের এই অবস্থার ফলে রাজনৈতিক পরিবর্তনের খোঁজে থাকা সমাজের সামনে নতুন সম্ভাবনা খুলতে পারে কি? অন্যদিকে, জনগণের মনোবলে যদি এই নির্যাতনের প্রতিরোধ ভেঙে যায়, তবে আগামীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সামাজিক পরিবর্তন আসা সম্ভব। তাই, আমাদের ভাবতে হবে—রাজনীতির স্বপ্নের ইউটোপিয়ায় পৌঁছানোর আর কি কোনো পথ আছে?