হাওড়ার বাসিন্দারা যেন অন্ধকারে অপেক্ষামান, তাদের জীবনযাত্রা যখন সুখের সিংহদ্বার থেকে দূরে, তখন সরকার প্রতিধ্বনিত করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা সাবস্টেশন তৈরির প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত, অথচ প্রশ্ন থেকে যায়—এই বিদ্যুৎসঞ্চার কতটা বাস্তবে আসবে আর কতটা রাজনৈতিক আশ্বাস? পার্থপ্রতিম দত্তের অভিযানকে মনে হয়, বিষণ্ণ জনগণের লোভোল্টেজ থেকে মুক্তি দেওয়ার একটি নাটক, তবে সঠিক সমাধান কি আসবে এদের কষ্টের?
হাওড়ায় বিদ্যুৎ: আশা নাকি বিপদের গভীরতা?
হাওড়া জেলার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষা করছে তাদের ঘরে আলো জ্বলতে। নিম্ন ভোল্টেজের সমস্যা তাদের জীবনকে দافন করে রেখেছে। বিদ্যুৎ বাজারের অস্থিরতা বর্তমানে একটি সংকটের ধারা তৈরি করেছে। বিদ্যুৎ দফতরের সাবস্টেশন গড়ার লক্ষ্যে প্রভাবশালী নেতা পার্থপ্রতিম দত্ত এবং দফতরের কর্মকর্তারা জায়গা পরিদর্শন করেছেন, তবে এখনো কেন আলো আসছে না—এই প্রশ্ন ওঠে।
রাজনীতি ও সমাজ: একটি পরিবর্তনের আশা
হাওড়া জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি দ্রুত সাবস্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তবে প্রশ্ন, নেতাদের সদিচ্ছা কি সত্যিই জনগণের জন্য? জনগণের মধ্যে উন্নয়নের আশা যেমন তৈরি হচ্ছে, তা সত্ত্বেও হতাশার ছায়া ক্রমশ গভীর হচ্ছে।
সরকারি প্রতিশ্রুতিতে স্বচ্ছতার অভাব
জনতা এখন সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলছে—“আমাদের প্রাপ্য বিদ্যুৎ কবে আসবে?” অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি মানুষের জন্য কার্যকর নয়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বই আমাদের এই দীর্ঘ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
জনগণের আশা ও প্রতিবাদের আওয়াজ
এদিকে, স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা আন্দোলনে যোগ দিতে প্রস্তুত। প্রশ্ন হল, এই প্রতিবাদ কি সত্যিই পরিবর্তন আনতে পারবে, নাকি শুধুই অন্ধকারে চিৎকার চলছে? এ ধরনের প্রশ্ন এখন বহুল আলোচিত।
সমাজে নাটকের মঞ্চায়ন
বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাদের মনে পড়ে রাজনৈতিক গদ্য-পদ্য, যেখানে সাধারণ মানুষের আর্তনাদ উপেক্ষিত হয়। এই সংকট আমাদের সামনে আসছে গভীর সামাজিক সমস্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র।
অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ: সরকার কি সচেতন?
একটি বড় প্রশ্ন, সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবের মুখোমুখি কি? গোলযোগের মাঝে যে সুরের জয়জয়কার হচ্ছে, তা কি আসলেই নতুন রাজনৈতিক কাহিনীতে মিলে যাবে?
জনতা যদি একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর গড়ে তোলে, তাহলে হয়তো এই সংকট দ্রুত সমাধানের দিকে এগোবে।