“মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুর্যোগ’ গানে বর্ষা ও বন্যার বাস্তবতা: ক্ষমতায় ভীতি, জনগণের মাঝে অনিশ্চয়তার চিত্র”

NewZclub

“মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুর্যোগ’ গানে বর্ষা ও বন্যার বাস্তবতা: ক্ষমতায় ভীতি, জনগণের মাঝে অনিশ্চয়তার চিত্র”

মুখ্যমন্ত্রী টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপে গানে বর্ণিত দুর্যোগ শব্দটি ধারাবহিক বর্ষা ও বন্যার প্রেক্ষাপটে শুনিয়ে দিয়েছেন, ভাবাবেগে নিপুণ কৌশলী। ‘দুর্যোগ’ মানেই ভয়ের আতঙ্ক; তবে এ আতঙ্কে শাসক ও শাসিতের মাঝে যেন নতুন এক নাটকীয়তা তৈরি হচ্ছে—সমস্যার প্রতিক্রিয়া, পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা, এবং শাসনের দায়িত্বের চাপ। राजनीति ও সমাজের এই অবস্থা, রবীন্দ্রনাথের কলমের খোঁচায়, যেন এক পরিহাস।

“মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুর্যোগ’ গানে বর্ষা ও বন্যার বাস্তবতা: ক্ষমতায় ভীতি, জনগণের মাঝে অনিশ্চয়তার চিত্র”

মুখ্যমন্ত্রীর গানের মাধ্যমে ‘দুর্যোগ’: বর্ষা ও বন্যার প্রেক্ষাপট

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি গান নিয়ে কথা বলেছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “দুর্যোগ শব্দটার জন্য সবাই ভয় পায়।” সত্যিই, এই শব্দটি যেন অরাজকতার একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রাজনীতি, প্রকৃতি এবং সমাজে প্রতিনিয়ত অনুভূত হচ্ছে।

সমাজের দুর্যোগভুক্ত চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর গানের গূঢ় অর্থ পুঁজিবাদের অশুভ পরিণতির প্রতিফলন ঘটায়। যখন বর্ষা ও বন্যার কারণে মানুষ বিপর্যস্ত, তখন আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থতা কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী এই গান গেয়ে মানুষের ঘুমন্ত আশঙ্কাকে জাগাতে চেয়েছেন। সংকটের এই সময়ে প্রশ্ন উঠছে— প্রশাসন কি সঠিকভাবে কাজ করছে?

রাজনীতির দুর্যোগ: সংকটের সময় সরকারের কর্তব্য

দুর্যোগ কখনো নির্দিষ্ট কারও দিকে আঙ্গুল তোলে না, তবে রাজনৈতিক নেতাদের কার্যকলাপকে অবশ্যই আঘাত করে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, ঘরবাড়ি ভাঙছে, কৃষিক্ষেত্র বিপর্যস্ত। কিন্তু কেন যেন এক শীতল নীরবতা। রাজ্যের আইন ও সংবিধান মেনে কী দাঁড়িয়ে আছে আমাদের পক্ষ থেকে? জনগণের কণ্ঠ কি নেতারা শুনছেন, নাকি শুধু গানের সুরে মগ্ন?

মিডিয়া ও জনমত

মিডিয়ার বিভ্রান্তি ও জনগণের অসন্তোষের মাঝে নেতার কথাগুলি যেন মেঘাচ্ছন্ন। বিদ্যুতের মতো শূন্যতার মাঝে, এটি ‘দুর্যোগ’ নামের একটি অনুপ্রেরণা মনে হচ্ছে। জনগণ জানতে চাচ্ছে, কেন সরকারের পরিকল্পনা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে সেই সব মানুষের গল্প উঠে আসছে, যারা বর্ষার হিংস্রতায় ভাসছেন।

বিষণ্ণ ভবিষ্যৎ: সমাজের বিশ্বাসের অবসান

এখন সমাজে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করার সময় এসেছে। রাজনীতির অযাচিত উপাখ্যান থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত জনগণের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার সময়। যখন বর্ষা বিপদের ঘন্টার পেন্ডুলাম, তখন আমাদের নির্বাচিত নেতাদের নিজেদের যাচাই করা উচিত। জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে কি তারা কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন?

‘দুর্যোগ’ এখন একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে রাজনীতি, প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে মেলবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক দিকনির্দেশনা ও কার্যকর উদ্যোগই আমাদের রক্ষা করতে পারে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে।

মন্তব্য করুন