শনিবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় হাজির হয়ে ‘দিদি’র ভূমিকা পৌঁছলেন, যেন সরকার নয়, মানবিকতার প্রতীক। ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদনের সঙ্গে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও যোগ করলেন। প্রশ্ন উঠছে, এই মানবতা কি সর্বদা রাজনৈতিক কলেজের পাঠ্যপুস্তকে সমৃদ্ধ হয়, নাকি কেবল বিরোধের ফলস্বরূপ? বাঙালির চেতনায় এমন নৈকট্য নতুন আলো ফেলে।
মমতার মানবিক আবেদন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে নতুন মোড়
শুক্রবার, স্বাস্থ্যভবনের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান। তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দিদি হিসেবে এসেছি।” তাঁর এই কথা শুনে বাঁকুড়ার ডাক্তাররা খুশি হন, কারণ সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত হয়েছে সরকার।
রাজনীতির আঙ্গিকে মানবতা
সরকারের এই সংকেত কি শুধুই নেত্রির শাসনের অধিকার প্রদর্শন, না কি সত্যিই মানুষের দুঃখের প্রতি সহানুভূতি? আন্দোলনরত ডাক্তারদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উভয় পক্ষের জন্য নব উদ্যমের সূচনা করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—এই মানবিক চাহিদার পিছনে কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে?
সমাজে গভীর প্রতিফলন
ডাক্তারদের আন্দোলন যে শুধু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নয়, বরং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্যও প্রয়োজনীয়। জনতাকে সংহত করতে এমন উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। রাজনীতির এই নাটকীয়তা কি আদৌ সমাজে স্থায়ী পরিবর্তন আনবে, নাকি শুধুই এক ঝলক বয়সী খেলা?