মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদি’ অবতার, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং গ্রেফতার: রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব!

NewZclub

মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদি’ অবতার, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং গ্রেফতার: রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব!

শনিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সৃষ্টির মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর হাজিরা, তাঁর দিদি সত্তার আবির্ভাব বুকে নিয়ে আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদন একদিকে, অন্যদিকে কলতান দাশগুপ্ত ও সঞ্জীব দাসের গ্রেফতারি—এ যেন এক দ্বন্দ্ব মঞ্চ, যেখানে শাসকের মায়া আর গণমানুষের কণ্টকময় পথচলা প্যাঁচ পাকাচ্ছে। কত সহজেই নেতারা ‘দিদি’র মুখোশে ঢেকে ফেলেন নিজেদের কর্তৃত্বের আভিজাত্য! তবে পরিচালকেরা তো জনগণের কান্না শুনতেই পাচ্ছেন—নাকি সুরের সঙ্গেই সংবাদমাধ্যমের নৃশংস সুরের মেলা চলছে?

মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদি’ অবতার, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং গ্রেফতার: রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব!

রাজনৈতিক নাটক: মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন

শনিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে। “আমি দর্শক নই, দিদি হিসেবে এসেছি,” বলে আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রতি আবেদন জানান।

মুক্তির স্বপ্নে অন্ধকারের চাপা

এ ঘটনার মধ্যেই কলতান দাশগুপ্ত এবং সঞ্জীব দাসের গ্রেফতারির খবর আসে। আদালত তাঁদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে, যেন ডিজিটাল যুগের স্‌বেদনশীলতার পালে নতুন হাওয়া লাগাতে পারে রাজনৈতিক খেলায়।

পরিবর্তনেরলে এলাহি কিন্তু বাস্তবে বৈরাগী

এই সংকটগুলির মাঝে কি আদৌ সাধারণ মানুষের声গন অধিকার রক্ষা পাচ্ছে? বা সরকারী প্রতিশ্রুতি কেবল অবিশ্বাসের সাম্প্রদায়িক কথা? রাজনীতি এখন যেন এক অশ্লীল নাটক, যেখানে প্রতিপক্ষের বদলে অন্তর্দৃষ্টি হারিয়ে যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদি’ সংস্কৃতি রাজনীতির প্রেক্ষাপট পুনরায় যদি না পাল্টায়, তবে ডাক্তারদের আন্দোলন কিংবা সাধারণ মানুষের সমস্যা শুধুই গল্পের পাতা হয়ে থাকবে। দোষারোপের খেলায় সমাজের একাংশ আবারও আঘাত পাবে।

মন্তব্য করুন