নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, যেখানে তিনি ডিভিসির খনন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন, তা প্রতিফলিত করে বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার অদূরদর্শিতা। চার লক্ষ কিউসেক জল সংরক্ষণে সক্ষম হলেও, বাস্তবে প্রকৃত সমস্যা বিমুখ। ציבורের চাহিদা আর শাসকদের আশ্বাসের ফারাক এতটাই জানতে চাইলে, ‘পলিগুলো ক্লিয়ার করুন’ কথাকে যেন হাস্যকর বিপরীতে দাঁড় করায়। রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা আর কার্যকারিতায় যে ফারাক, তা আজও সমাজের আলোচনায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে জলসংকটের সমাধান
ব্রতীর প্রেক্ষাপটে এবারের ঘূর্ণিঝড় দানা আমাদের প্রকৃতির শক্তির প্রভাব পরিস্ফুট করে। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, “যদি ডিভিসি সঠিকভাবে খনন ও পলি পরিষ্কারের কাজ করে, তাহলে তারা চার লক্ষ কিউসেক টন অতিরিক্ত জল সংরক্ষণ করতে পারবে।” এই মন্তব্য আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিচালনা ও রাজনৈতিক দিকপালদের নানা বিষয়কে সামনে আনে। এটি জলসংকটের মোকাবেলা ছাড়াও একটি গভীর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
নীতির আড়ালে আসল সত্য
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রশ্ন জাগায়—কেন ডিভিসির খনন ও জল সংরক্ষণের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না? এটি কি প্রশাসনিক অক্ষমতা, নাকি অতীতের রাজনৈতিক বিতর্কের ফল? যদ্বারা এই কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তখন গ্রীষ্মবৃষ্টিতে প্রায় চার লক্ষ কিউসেক টনের অতিরিক্ত জল আমরা কাজে লাগাতে পারব।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও সচেতনতা
মুখ্যমন্ত্রীর নিম্নচাপ ও পলি বিষয়ক আলোচনায় সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে কেবল নয়, জনগণের মধ্যে নতুন একটি সচেতনতা অর্জনেও সহায়ক হয়েছে। সবাই সরকারের কাছে জানতে চাইছে, “কেন সময়মতো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না?”
রাজনীতির নিত্যনতুন পটভূমি
এখন রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এই বিষয়ে নানা কৌশল দৃশ্যমান। কিছু নেতার লক্ষ্য শুধুমাত্র ভোট পেয়ে আসন্ন নির্বাচনে জেতা, যখন অন্যরা জল ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তা করছেন। কিন্তু কি এই নেতৃত্বের প্রকৃত দায়িত্ববোধ? এটি কি রাজনীতির নতুন ছক?
সভ্যতার অন্তর্লীন সংকট
জলসংকট আমাদের সভ্যতার মূল্যবোধকে কতটা প্রভাবিত করছে? যখন নেতারা তর্কে ব্যস্ত, তখন সাধারণ মানুষ দুর্দশাগ্রস্ত। রাজনৈতিক নাটক আমাদের সামনে সমাজের সমস্যা তুলে ধরলেও, প্রশ্ন থেকে যায়—”কিভাবে ক্ষতির পরিবর্তে লাভের দিকে এগোবো?”
এক নতুন দিগন্তের সন্ধানে
সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে অসাধারণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। সঠিকভাবে জল প্রশাসনের উদ্বোধন করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আবশ্যক। মুখ্যমন্ত্রীর ‘ডিভিসির পলি’ বিষয়ক মন্তব্য হয়তো নতুন দিগন্তের সন্ধানের সূচনা করবে। আমাদের এই সংকটকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে, নতুন পথে হাঁটতে হবে।