কালিম্পংয়ে বৃষ্টির তাণ্ডবে ভেঙে পড়ল সংসার, নেতাদের চোখে লুকিয়ে কাশ্মীর! সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে কার দায়?

NewZclub

কালিম্পংয়ে বৃষ্টির তাণ্ডবে ভেঙে পড়ল সংসার, নেতাদের চোখে লুকিয়ে কাশ্মীর! সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে কার দায়?

কালিম্পংয়ে ধস ও বিদ্যুতের সমস্যায় যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, তখন শাসকদলের জনসেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারী বৃষ্টির কারণে বাড়ি ভেঙে পড়া, জলমগ্ন শিলিগুড়ি—এসব ঘটনা যেন সরকারের ‘অকল্পনা’ প্রতিফলিত করে। জনগণের দুর্ভোগকে জাতীয় রাজনীতির অনন্ত ‘নাটক’ হিসেবে দেখা, কি আশ্চর্য! জনগণ তো ঠিকই জানে, বিপর্যয়ের মাঝে কোন ‘নায়ক’ তাদের সাহায্য করতে আসবে কিনা।

কালিম্পংয়ে বৃষ্টির তাণ্ডবে ভেঙে পড়ল সংসার, নেতাদের চোখে লুকিয়ে কাশ্মীর! সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে কার দায়?

কালিম্পংয়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়: শাসনের অক্ষমতা নাকি প্রকৃতির ক্রোধ?

সাম্প্রতিক সময়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং এলাকায় ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটেছে। এই বিপর্যয়ে বিদ্যুতের খুঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে গ্রামের লোকজনের পাশাপাশি শহরের বাসিন্দারাও বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ছেন, যা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করছে। সরকার কি এই পরিস্থিতিতে মনোযোগ দিচ্ছে? যদি তারা দিচ্ছেন, তাহলে কেন তারা আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ?

মিরির থার্বু এলাকায় বাড়ির ধস: আতঙ্কের চিত্র

মিরির থার্বু এলাকায় প্রবল বৃষ্টির ফলে একটি বাড়ি ধসে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিবারের আতঙ্কের অবস্থা কল্পনাও করা কঠিন। এই ঘটনার মাধ্যমে মনে পড়ে, কতবার আমরা শাসকদের প্রতিশ্রুতি ও রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনেছি—কিন্তু প্রকৃতির চ্যালেঞ্জের সামনে এসব সবই যেন শূন্যতায় গাঢ় হয়ে যায়।

শিলিগুড়ির জলমগ্ন পরিস্থিতি

শিলিগুড়িতেও বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, প্রকৃতিক দুর্যোগ কিংবা রাজনৈতিক দুর্বলতা—দুটোরই প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কতটা ভয়াবহ হতে পারে। শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনা, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা ও রাজনৈতিক নেতাদের অবহেলা—এসবই আমাদের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে।

জনমত ও বাসিন্দাদের দুর্ভোগ

জনমত তৈরি করার চেষ্টা চলছে, তবে সমস্যার মধ্যে রয়েছে যে, সেই সকল মানুষের কথা সাধারণত শোনা যায় না যারা এসব বিপর্যয়ের শিকার। তারা নেটমাধ্যমে সমালোচনা করেন, কিন্তু বাস্তবতা কি একেবারে ভিন্ন দিকে? কথার অবকাশ থাকলেও অপরাধের বিচার হয় না। রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান নিয়ে জনতার অভিযোগ শুনে অস্বস্তি কি তাদের মধ্যে দেখা দেয়?

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: ভবিষ্যতের পথে?

একদিকে জনগণের দুঃখ, অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতাদের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব—এটি যেন জীবনের গতিবিধি ক্ষুণ্ণ করছে। দুর্গম এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রা কিভাবে উন্নত করা যায়, তা ভাবা দরকার। শাসকেরা কি সত্যিই এসব বিপর্যয়ের গভীর অর্থ উপলব্ধি করেন? না কি তারা শুধু সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতেই সন্তুষ্ট?

নতুন পরিকল্পনাগুলি: আশার ছোঁয়া?

সরকারের পক্ষ থেকে নতুন পরিকল্পনা কিংবা পদক্ষেপের ঘোষণা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি, যা সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি আনবে। গত কয়েক বছরে বার বার একই অভিযোগ, একই প্রতিশ্রুতি—রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে, তা আমাদের বুঝতে হবে। কি শুধুই বৃষ্টির জলই আসে, নাকি সঙ্গে নিয়ে আসে নতুন উদ্বেগ ও প্রশ্ন?

সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তরণ: এখনই প্রয়োজন

অতএব, আমাদের এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা গ্রহণের সময় এসেছে। কিভাবে জনগণের উপর রাজনৈতিক দলের চাপ কমানো যায় এবং জনগণের উন্নয়নে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়—এটা আমাদের ভাবার বিষয়। কারণ, যখন প্রকৃতি রুষ্ট, তখন রাজনৈতিক আশ্বাসের গুণগত মান ও কার্যকারিতা ঠিক হয় না।

এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আমরা কি কেবল সমস্যাগুলো পাশ কাটাবো, না কি একটি নবজাগরণের সূচনা করবো?

মন্তব্য করুন