বিশ্বকর্মা পুজোর উল্লাসে যখন জনগণ আনন্দে মেতে উঠেছে, তখন রাজনীতির মঞ্চে এক নতুন নাটক জন্ম নিচ্ছে। এমনিতে ছুটির দিনগুলোতে আনন্দের তরঙ্গে সবাই মগ্ন, কিন্তু স্থানীয় ট্রেনের ভেতর দেবতা পুষ্পিত হলেও, রাজনৈতিক করিডরে কার্যত বিহঙ্গশাবক। প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা যেমন কিম্বা অবিশ্বাসের শাঁস বেড়ে চলেছে, এই সঙ্কটাপন্ন প্রেম-বিরহের মাঝে চোখে পড়ছে সেই কলেজ জীবনের আড্ডা। সভা-সমিতির মধ্যে শুধু ধর্মের কথাই যখন গুনগুন করছে, তখন মানুষ বুঝতে চায়, কে সত্যি বিশ্বকর্মা: দেবতা নাকি রাষ্ট্রের প্রহরী?
বিজ্ঞান ও ধর্মের মিলন মেলা: বিশ্বকর্মা পুজোর অন্তরালে
বিশ্বকর্মা পুজো, যেখানে প্রযুক্তি ও শিল্পের দেবতা পূজিত হন, এবার সামাজিক আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ছুটির দিনটিকে কাজে লাগিয়ে, কর্মব্যস্ত মানুষজন কেন গোপনে নিজের নতুন প্রজেক্টের ফাইল নিয়ে বসে থাকবেন? আসুন, একটু আনন্দেরও সময় বাঁধি।
রাজনীতি ও বিবেকের দ্বন্দ্ব
শিয়ালদা স্টেশনে পুজিত বিশ্বকর্মাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে রাখা হবে কোনও নিরাপদ স্থানে। কিন্তু নিরাপত্তার নামে যখন নিয়ম করা হয়, তখন তার আড়ালে রাজনৈতিক কৌশল কি? সমাজের প্রতিটি স্তরে, কীভাবে এলিটিজমের আন্দোলনে গণতন্ত্র উপেক্ষিত হয়ে পড়ে, এই প্রশ্ন আজও অত্যন্ত জরুরি।
মানুষের চেতনা ও রাজনীতির উঁচু-নীচু
এখনকার সময়ের সংঘর্ষে সবার কাছে তথ্যের অভাব নেই, তবে স্বজনপ্রীতির মর্মান্তিক সত্য উদ্ঘাটনে রাজনৈতিক নেতাদের কি মনে পড়ে, নাকি তাঁরা শুধুই আপাত শান্তি খোঁজেন? বাস্তবতার দিকে চোখ মেললেই দেখা যায়, নিজেরদের ছুটির শূন্যতা লুকোতে সরকারি টকশো ও সেলিব্রেটি উল্লাসই সব।