কলকাতার ঘুড়ির দোকানগুলোতে এখন কেবল কালো মেলার ধূসর পরিবেশ। এই কালো ঘুড়ির ওপর সাদা রঙের স্লোগান লেখার মাধ্যমে পৌর প্রশাসনের প্রতি নিজেদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে মানুষ। বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণে রোজগারের পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতি খোঁচা দিয়ে, সংশপ্তকেরা যেন সচেতনতার নতুন আকাশে তাদের সংকেত উড়াচ্ছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হতাশার মধ্যে, এই কালো ঘুড়ি যেন মুক্তির আশায় দোলা দেয়, তবে কি সেই আশাটি কেবল বাতাসে ভাসছে?
ঘুড়ির রঙ এবং প্রতিবাদের সুর
বর্তমান বিশ্বকর্মা পুজোর প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং জনমতের পরিবেশনায় শৃঙ্খলার বদলে অশান্তির ছায়া। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার দোকানে দেখা যাচ্ছে কালো ঘুড়ির প্রচলন, যেখানে সাদা রঙে স্লোগান লেখা হচ্ছে বিচারর দাবিতে। সমাজের প্রতি এ যেন এক সূক্ষ্ম সমালোচনা।
রাজনীতির রঙিন রূপ
কালো ঘুড়ি তৈরি হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে, যেখানে শিল্পকর্মের মাধ্যমেও জনতার আওয়াজকে তুলে ধরা হচ্ছে। এমন একটি উদ্দীপনা যে শুধুমাত্র পুজোর বাড়তি রোজগার নয়, বরং राजनीतिक বাস্তবতার প্রতি চ্যালেঞ্জ। উচ্চারণ, ‘আজকের সরকার, কালকের মুখোশ।’
বিচারের জন্য সাঁই সাঁই
রাজনারায়ণী সমাজের ঘটনার পটভূমিতে এ যেন শিল্প ও প্রতিবাদের একাকীত্ব। সাধারণ মানুষের স্মৃতিতে নিজেদের অস্তিত্বকে জাগিয়ে রাখার জন্য ঘুড়ির এই আন্দোলন। সামাজিক রূপ পরিবর্তনের প্রতিফলন প্রতিটি কালো ঘুড়ি যেন অপেক্ষায়, ন্যায়বিচারের বার্তা নিয়ে।