“নিরাপত্তার বিশ্বস্ততার অন্তরালে: যুবতীর দু:খের কাহিনী মুখোশ ফেলে দেয় রাজনীতির ভদ্রতার!”

NewZclub

“নিরাপত্তার বিশ্বস্ততার অন্তরালে: যুবতীর দু:খের কাহিনী মুখোশ ফেলে দেয় রাজনীতির ভদ্রতার!”

বর্ধমানের একটি ঘটনা সমাজে প্রবাহিত অন্ধকার ফোঁটে তুলে ধরছে, যেখানে মানবিকতার মুখোশ খুলে গেছে। প্রদীপের সহানুভূতি যা বিশ্বাসের আলো জ্বেলে দিয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত পাশবিকতার অন্ধকারে বিলীন হলো। সমাজের চোখে চোখে এক অদ্ভুত নাটক চলছে—কথায় বুলি, বাস্তবের পালা। অথচ, নেতারা নিজেদের সাংবাদিকতার সরণিতে কেমন নির্বিকার! মানুষের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণার কাছে কি কখনো দায়বদ্ধতা অনুভব করবেন?

“নিরাপত্তার বিশ্বস্ততার অন্তরালে: যুবতীর দু:খের কাহিনী মুখোশ ফেলে দেয় রাজনীতির ভদ্রতার!”

বর্ধমানে যৌন হেনস্থার ঘটনা: বিশ্বাস ভঙ্গ ও সমাজের প্রতিক্রিয়া

সম্প্রতি বর্ধমান স্টেশনে একটি ঘটনার মাধ্যমে সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এক যুবতী, যে যুবকের প্রতি নির্ভরতা নিয়ে ভ্রমণ শুরু করেছিল, সেই যুবক কিভাবে তার বিশ্বাস ভঙ্গ করে পাশবিক আচরণে লিপ্ত হলো, তা সত্যিই দুঃখজনক। যুবতী যখন প্রদীপের ফোন থেকে অন্য যুবককে কল করে তথ্য জানার চেষ্টা করেন, তখন জানতে পারেন তিনি দেবীপুরে অবস্থান করছেন। মানুষের কথায় সত্য কোনদিন মিথ্যে হয় না।

বিকল্পের অবসান: যুব সমাজের বিপদ

এই ঘটনার পেছনে মাদকাসক্তি ও বিপর্যয়কর চিন্তাভাবনা যে কাজ করছে, তা আর গোপন নয়। সভ্যতার আলোচনার মধ্যে যুবকদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের মাঝে এই ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিক ফুটিয়ে তুলছে। এক দিকে সরকার নতুন নীতি গ্রহণের চেষ্টা করছে, কিন্তু এই অবক্ষয় নিয়ন্ত্রণে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

নেতাদের নিস্তব্ধতা: জনগণের প্রশ্ন

রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে গঠনমূলক নীতির পরিবর্তে সমাজকে নতুন সংকটে ফেলেছে। নেতাদের কেউই এই ঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেনি। জনগণের মধ্যে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে সংলাপ শুরু হয়েছে। জনগণ কি এ ধরনের নেতৃতে আস্থা রাখবে?

মিডিয়া: অধিকাংশ চর্চা, কিন্তু কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই

মিডিয়া এই ঘটনার নিউজ কাভারেজ করেছে, তবে তাদের বিচারবোধ কি যথাযথ? টেলিভিশনের পর্দায় দেখা বিখ্যাত ব্যক্তিরা কি বাস্তবতার দিকে নজর দেবেন? না হলে, সমাজের প্রশ্ন থাকবে। সংবাদ মাধ্যম কি মানুষের রক্ষাকর্তা, নাকি তারা শুধুমাত্র কেলেঙ্কারির খবর প্রচার করতে ব্যস্ত?

সমাজের প্রতিক্রিয়া: পরিবর্তনের সম্ভাবনা?

সাম্প্রতিক এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা। যুব সমাজের মধ্যে স্পষ্ট যে, তারা আর ধৈর্য্য ধরতে রাজি নয়। সমাজের আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসতে এসেছে যে, সুখের আবরণে একটি দুঃখজনক সত্য লুকিয়ে রয়েছে। রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সমাজ কি আগামীদিনে নতুন মর্যাদার অধিকারী হবে? প্রতিটি চ্যালেঞ্জের ভেতরে নতুন সম্ভাবনা নিহিত আছে, সেই বিশ্বাস নিয়েই আমরা আগাচ্ছি।

এই অবস্থায় আমাদের একত্রিত হয়ে সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য সচেতন হতে হবে। নীতিনির্ধারকদের সামনে আমাদের এই দাবি ও দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন, যাতে সমাজের এই অসুস্থ প্রচলন বন্ধ করা যায়। আর তখন, যুব সমাজ আবার তাদের সম্ভাবনার দিকে ফিরে তাকাতে পারবে।

মন্তব্য করুন