কলকাতা পুলিশের হাতে নেই আর যে কোনও ব্যবস্থা, কারণ আদালত নির্দেশ দিয়েছে কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার বা তদন্তের জন্য অনুমতি প্রয়োজন। চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে; আবার বিপরীত বিবৃতি দিতে পারেন দাশগুপ্তও। এই অদ্ভুত নাটকে মনে হয়, বিচার এবং রাজনীতির ভেলায় বসে জনতার মনোভাব নিয়ন্ত্রণের খেলা চলছে। সরকারের অঙ্গীকার এবং নাগরিকের অধিকার একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, আর এই সময়ে জনগণের কণ্ঠস্বর যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
কলতান দাশগুপ্তঃ আদালতের সুরক্ষা ও রাজনৈতিক নাটক
কলকাতা পুলিশের ওপর আদালতের নির্দেশনায়, কলতান দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা গ্রেফতার করা যাবে না। রাজনৈতিক অস্থিরতার এই মাথা চড়া প্রদর্শন কোথায় নিয়ে যাবে আমাদের গণতন্ত্রকে? আদালত কি সত্যিই জনগণের রক্ষাকবি, না পতাকা হাতে নিখুঁত রাজনীতির চালাক?
রাজ্যের পতনশীল শাসন ব্যবস্থা
চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের। যদিও মুশকিল হলো, এই হলফনামা সত্যের প্রতীক, অথবা রাজনীতির চমকপ্রদ নাটক, তা আদৌ বলা যায় না। কিন্তু কলতান দাশগুপ্তও পাল্টা ছক কষছে, যেন রাজনৈতিক খেলায় পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে।
জনমত ও রাজনৈতিক সমীকরণ
অথবা, এই অদ্ভুত উত্থান কি সাধারণ মানুষের বোধশক্তির বিরুদ্ধে নতুন এক চ্যালেঞ্জ? মিডিয়া কি নিছক দর্শক, না তাদেরও কি ভিন্ন কিছু করার অধিকার আছে? সমাজের সভ্যতার এই রূপান্তর কি আমাদের স্বপ্নের সৃজনশীলতায় সেঁধিয়ে যাবে?
পথের মাঝে।
বিশেষ একটি পরিস্থিতির মাধ্যমে সম্ভাবনার দীপ জ্বালানোর আকাঙ্ক্ষা এখনও জাগ্রত। আমাদের রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পুরাণ কি নতুন কাহিনি বলবে? নাকি ধরে রাখবে পুরনো সেই রূঢ় বাস্তবতাকে, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঙক্তির মতো, গভীর বিষণ্ণতায় ছড়িয়ে যাবে জনমানসে?