দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬০০-৬৫০ টি বিএড কলেজের বাস্তবতা নিয়ে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভর্তি চলছে, অথচ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। গণতন্ত্রের রঙিন অধিকার কেবল মুখের কথায়; বাস্তবে কেমন অদ্ভুত মোহেরা! শিক্ষার নামে কি চণ্ডালাচার?
বিএড কলেজের অব্যবস্থাপনা: একটি সচেতনতা অভিযান
বিগত সময়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি কঠিন বাস্তবতা সামনে এসেছে। মামলাকারীদের অভিযোগ অনুযায়ী, দেশে ৬০০ থেকে ৬৫০টি বিএড কলেজ রয়েছে, যার অধিকাংশই সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী উপযুক্ত পরিকাঠামো থেকে বঞ্চিত। লেখাপড়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব
যদিও এনসিটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিাচিং)-এর গাইডলাইন অনুসারে কলেজগুলিতে একটি নির্দিষ্ট অবকাঠামো থাকা আবশ্যক, তথাপি শিক্ষামন্ত্রীর অসমাপ্ত কার্যক্রমের ফলে ভর্তি সংক্রান্ত স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাহলে কি এসব কলেজে ভর্তি শুধুমাত্র একটি সংখ্যা গণনার বিষয়? কোথায় প্রতিকার?
শিক্ষার প্রতি অবহেলা
শিক্ষার গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উদাসীনতা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানালেও তাদের কন্ঠস্বর কানে পৌঁছাচ্ছে না। আমরা কি ‘নতুন ভারত’ গড়ার লক্ষ্যে চলেছি, না কি আমাদের অন্ধকারকে জাগিয়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছি?
মানবাধিকার ও স্বচ্ছতার দাবি
মামলাকারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ভঙ্গের সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই নৈতিক দায়িত্ব আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।
জনসচেতনতা ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
শিক্ষার মানের বিষয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যা রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। জনগণ যখন প্রতিবাদে উঠে আসে, তখন সরকার সচেতন হওয়ার চেষ্টা করে। তবে, শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব নয়; কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
আলোচনার প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই অবস্থা একটি বৃহত্তর সমস্যার প্রতিফলন। যারা সিদ্ধান্ত নেন, তারা কি জানেন শিক্ষার গুরুত্ব কত? যদি আর্থিক স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক সদিচ্ছা থাকতো, তাহলে কি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল অবস্থা হত?
সমাজের দৃষ্টিকোণ
যখন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা সমস্যার সম্মুখীন, তখন সাধারণ মানুষ একটি নতুন সাড়া ফেলে। আমাদের এখন প্রশ্ন করার সময় এসেছে: আমরা কি আমাদের ভবিষ্যৎকে বিনষ্ট হতে দেব?
উপসংহার
শিক্ষা ও ছাত্র সমাজ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের অবহেলা আমাদের জাতির জন্য সংকটের কারণ হতে পারে। তাই সকলের মধ্যে সচেতনতা তৈরির সময় এসেছে। আসুন, একটি জাগরণ তৈরি করি।