কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও সরকারের সদিচ্ছার অভাবের প্রশ্ন উঠছে!

NewZclub

কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও সরকারের সদিচ্ছার অভাবের প্রশ্ন উঠছে!

কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আরো একবার প্রশ্নবিদ্ধ হল। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতা এক অদ্ভুত নাটকের কাহিনি, যেখানে মানবতার ডাক শোনার বদলে প্রশাসন কেবল দর্শক। বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গদি দখলের খেলায় নাগরিক নিরাপত্তা যেন এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি। সমাজের জরুরি সমস্যা নিয়ে গলদঘর্ম কর্তাব্যক্তিরা কি একবারও ভাববেন?

কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও সরকারের সদিচ্ছার অভাবের প্রশ্ন উঠছে!

কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে হামলার ঘটনার পর চিকিৎসক সমাজের উদ্বেগ

কলকাতার সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে, যেখানে একদল জুনিয়র চিকিৎসকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসক সমাজের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। হামলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের ভূমিকা ছিল একেবারেই নিষ্ক্রিয়। বর্তমান সময়ে হাসপাতালেও নিরাপত্তাহীনতা আমাদের কাছে একটি বাড়তি উদ্বেগের বিষয় বলে প্রতিত হচ্ছে।

রাজনৈতিক পটভূমি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ

বেনিয়াপুকুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আইন কি সত্যিই কার্যকর? শাসনের এই বিধ্বস্ত পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় রবীন্দ্রনাথের গান ‘মতো বনে বনের মতো’—এক প্রকার অদৃশ্যতা। চিকিৎসকরা নিজেদের সুরক্ষা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানাচ্ছেন, কিন্তু কেউ তাদের কথা শুনছে কি?

সামাজিক প্রতিক্রিয়া এবং জনমত

এই হামলার ঘটনায় চিকিৎসকরা কেবল নিজেদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলছেন না, বরং সমাজের নিরাপত্তার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা কি স্মরণ করাতে চান যে চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র কাজ করার জন্যই আছেন না, বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতেও তাদের ভূমিকা রয়েছে? জনগণ এখন ভাবছে, ‘আমরা চিকিৎসকদের মূল্য দিতে জানি না, অথচ তাদের জীবন বিপদে?!’

মিডিয়া এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

মিডিয়া হামলাটিকে কেন্দ্র করে আলোচনা জোরালো করার চেষ্টা করছে, কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া এখনও অপ্রকাশিত। প্রশাসনের গুণগত মান কোথায় টকে যাচ্ছে? জনগণের আশা এবং প্রত্যাশা এখানে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের এই ঘটনার দিকে নজর না দেওয়া কি মানুষকে আরও ক্ষুব্ধ করতে পারে?

পরিবর্তনের আহ্বান

অনেকে প্রশ্ন করছেন, অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত? চিকিৎসক সমাজের মধ্যে সংহতির আহ্বান নতুন পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে! এই সময় প্রতিবাদী হয়ে ওঠার, সমষ্টিগত উদ্যোগ গঠনের, যাতে নতুন দৃষ্টির আলো সৃষ্টি হয়। সংকট থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সচেতনতা ও সংগঠন প্রয়োজন।

উপসংহার: সাম্প্রতিক ঘটনা ও ভবিষ্যতের করণীয়

বর্তমান পরিস্থিতি মানবতা ও সভ্যতার একটি আয়না। চিকিৎসকদের ওপর হামলা আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেখে যাচ্ছে, তাহলে কি আমরা নিরাপত্তাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত? দৃঢ়তা, সংহতি ও সংস্কার আমাদের নিজেদের হাতেই। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘হৃদয়ের সন্তাপ’ বাড়ানোর সময় নয়, বরং নতুন সাধারণ নীতির খোঁজে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য করুন