মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা; কিন্তু সেই ক্ষতি কি টাকা দিয়ে মাপা যায়? ডাক বিভাগের কর্মীরা অধিকার চাওয়ার জন্য যেভাবে ধরনায় বসছেন, তার পেছনে নবান্নের নীরবতা নগ্ন চিত্র তোলে। কালীঘাটে নবান্নের আড়ালে বৈঠক? সাধন আর সাধনার এই বাজে খেলা সমাজে প্রশ্ন তোলে, নেতৃত্বের আসল মুখ কি আসলে শুধুই নাটকের অংশ?
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, অচলাবস্থায় মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি কেবল অর্থে? আবারও একবার প্রমাণিত হলো, রাজনীতির এত গভীর আবরণ, যে হতাশার মাঝে অনুপ্রবেশ করতে পারল আপনারা, সমর্পিত সংসদী ধারাগুলোর।
চিকিৎসকদের আবেদনের প্রাধান্য
চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে কথাবার্তা বলার পাকে, মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটে নিজ বাড়ির দরজায় অনুনয় করতে বাধ্য হন। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সুচিত স্বাধীনতা, অথচ জনগণের জীবন ও মৃত্যুর অঙ্গীকার ভুলে যায়। কি আশ্চর্য!
গভীর সংকটের প্রতিফলন
মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ বৈঠক বাজার নিম্নপদে। কেবলই প্রস্তাবনা, নিষ্ক্রিয়তার প্রতীক। সভ্যতার স্রোতে নিজের স্থান ধরে রাখতে, জনগণের শহীদত্বের ইতিহাস কি শুধুই ডামাডোল? সংলাপের জীবন ও মৃত্যুর নন্দনতত্ত্বে চেহারা বদলান।