শুক্রবার সকালে ভবানী ভবনের সামনে পুলিশের আত্মীয়দের অভিজ্ঞান দেখে মনে হলো, রাজনীতির নাট্যমঞ্চে আবারও নতুন চরিত্র 등장 করেছে। সুদূর মালদা থেকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ—লোকেরা আসছে অপরূপ দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিতে, কিন্তু কে জানে, এই পুলিশ নাটকের কাহিনী শেষ হলে তাঁদের নিজের বঞ্চনা কেমন হবে। সমাজে শান্তি ও ব্যাবস্থার পরিবর্তে যে অনিশ্চয়তা এবং অভাব নিয়ে পথচলা, তাতে কেবল এক বিস্তীর্ণ চিত্র অঙ্কিত হয়, যেখানে রাজনৈতিক ব্যর্থতার শিল্পী হিসেবে কেউ কেউ এখনো খোঁজে সেই পেছন থেকে দুর্ভাগ্যকে।
ভবানী ভবনের সামনে ভিড়: রাজনীতি ও সম্পর্কের জট খুলবে কি?
শুক্রবার সকালে ভবানী ভবনের সামনের পুলিশ কর্মীদের আত্মীয়দের ভিড় যথেষ্ট লক্ষ্যণীয় ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে আগত মানুষের উঁচু কণ্ঠে একটাই প্রশ্ন – “কি ঘটেছে, কেন এত ভিড়?” তাদের গলায় উদ্বেগ, আর চোখে অসহায়ত্ব স্পষ্ট। তারা এসেছে মালদা থেকে, আবার কেউ অন্যদিকে বীরভূম বা মুর্শিদাবাদ থেকেও। দেশে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের অবস্থা কি এখন শুধুই সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ?
সরকারি নীতি ও জনগণের প্রতিবন্ধকতা
সরকারি নীতির ফলস্বরূপ সমস্যাগুলো আজ ক্ষুদ্র পরিবারগুলোর জীবনকে বিপর্যস্ত করেছে। এই ভিড়ে চোখে পড়ছে সেই সব স্বার্থভোগী, যারা নিজেদের সন্তানের জন্য চাকরি প্রার্থনা করছেন সরকারের কাছে। অথচ, রাজনৈতিক পরিবেশের অন্ধকারে তাদের আশার মূলে কি নিষেধাজ্ঞা পড়েছে? এই রাজনীতি আমাদের উপর ভারী শূন্যতার চাপে থাকা অবস্থায় আমাদের সংগ্রাম কি এখনও একটি জীবনদায়ী উপাদান হতে পারে?
রাজনীতির অদ্ভুত বিশৃঙ্খলা
এটি যেন এক গভীর বিশৃঙ্খলা, যেখানে নেতাদের গুণধরের বাইরের ধূসর পথে সাধারণ মানুষের বিপর্যয়ের গল্প স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে। পুলিশ কর্মীদের আত্মীয়দের মুখে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে: “এই নির্বাচনে কি হবে?” ভাবনার এই বিষয়টি কি সত্যিই রাজনীতির কাজে আসে? জনগণের চিন্তা, যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, তা রাজনৈতিক জটিলতায় আসলেই গুরুত্ব রাখে কি? রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি কি আজ সমস্ত ক্ষেত্রে অদৃশ্য?
সমাজের তলানিতে অবশিষ্ট দায়িত্ব
রাজনীতির বর্তমান অবস্থান কি আমাদের চিন্তায় নতুন কিছু যুক্ত করছে? নাগরিকদের নৈতিকতা ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ভিড়ে আমরা একটি অনন্য আশার ছবি দেখছি – অদৃশ্য চুক্তির দ্বারা জনগণ এখনও দ্বিধাগ্রস্ত। “এটা কি শুধুমাত্র একটি ভিড়, নাকি সমাজের ভারসাম্য রক্ষার একটি প্রতিশ্রুতি?” সমাজ এই অস্থিরতার মধ্যে আসন্ন পরিবর্তনের আশায় রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য কি শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকা, নাকি সমাজের সম্পর্কের ভিত্তি ভেঙে যাচ্ছে কিনা, সেটিই ভাবনার বিষয়।
শেষে, আমরা একথা বলতে পারি, পুলিশের আত্মীয়দের এই ভিড় কি শুধুমাত্র একটি দৃশ্য? এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন আলোচনার ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং জনগণের অসন্তোষের নতুন মাত্রা। ভবানী ভবনের সামনে এই ভিড় কি আগামী দিনে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, তা আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন।