“দিওয়ালির ছুটির মাঝে সরকারের কর্মচারীদের আধুনিকতার ছোঁয়া: রাজনীতির পাণ্ডিত্য না কি নাগরিকের দুর্ভোগ?”

NewZclub

“দিওয়ালির ছুটির মাঝে সরকারের কর্মচারীদের আধুনিকতার ছোঁয়া: রাজনীতির পাণ্ডিত্য না কি নাগরিকের দুর্ভোগ?”

হালফিলে রাজনৈতিক দৃশ্যে যেন এক মহান রন্ধনশালা। দিওয়ালির ছুটির মধ্যে স্টক মার্কেটের বন্ধ থাকা আর পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অফিসের বন্ধের সিদ্ধান্ত মিলিয়ে বর্ষে বর্ষে ছুটি নিয়ে আলোচনা হলেও, নেতাদের কর্মফল জনগণের খরচা। ফলে, এই অপেক্ষা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সাধারনের প্রশ্ন উঠছে। সত্যি, আর কতদিন শূন্যতার মুর্তিতে আমাদের চলতে হবে?

“দিওয়ালির ছুটির মাঝে সরকারের কর্মচারীদের আধুনিকতার ছোঁয়া: রাজনীতির পাণ্ডিত্য না কি নাগরিকের দুর্ভোগ?”

  • মমতার রান্নাঘরে মা কালীর ভোগ: রাজনীতির মুখোশের তলে স্পষ্ট পিতৃসুলভ ধর্মানুষ্ঠান, জনগণের নীরব প্রতিক্রিয়া! – Read more…
  • মমতার কালীপুজোয় অভিষেকের আগমন: ধর্মের নামের আড়ালে রাজনীতির নানা রঙ! – Read more…
  • কলকাতা পুলিশের নারীকনস্টেবল নিয়োগ: নতুন প্রজন্মের নারী শক্তির প্রবেশ ও রাজনীতির নাটকীয় পরিবর্তন! – Read more…
  • এমন বিরোধ যখন পুলিশের পদে হুমকি, মহিলা এসআই’র ধরনায় শাসকদের অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে! – Read more…
  • “শ্রদ্ধার চাইতে রাজনৈতিক শত্রুতার সামনে ধর্মগুরুর ‘সেন্ট্রাল ফোর্স’: নেতাদের মানসিকতা ও সমাজের সত্যি চিত্র” – Read more…
  • দিওয়ালির ছুটিতে স্টক মার্কেট বন্ধ থাকবে

    ১ নভেম্বর দিওয়ালির উপলক্ষে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে স্টক মার্কেট। যদিও এটি উৎসবের আবহে আনন্দের খবর বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ সময়ের জন্য আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মুহূরত ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, এটা কি বাণিজ্যের সঠিক সময়? এই পবিত্র পর্যায়ে কি আসলে আমাদের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড চালানো উচিত? একটি মূর্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ট্রেডিং করাটা কি আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ?

    রাজ্য সরকারি অফিসের বন্ধের প্রভাব

    পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারি অফিস আজ আবার বন্ধ। এই সিদ্ধান্ত একদিকে উৎসবের আনন্দ, অন্যদিকে কর্মচাঞ্চল্যের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ভবিষ্যতে, কি সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রায় তার প্রভাব পড়বে? সরকারের কর্তব্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য সেবা প্রদান করা, কিন্তু যদি সকলেই নিজেদের আনন্দের পিছনে ব্যস্ত থাকে, তবে জনগণের খোঁজ কে নেবে?

    রাজনীতির অস্থিরতা

    রাজনৈতিক মহলে সরকারি ছুটির সঙ্গে চলমান বিক্ষোভ ও আন্দোলনগুলি সাধারণ মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, গণতন্ত্রের এই অস্বাভাবিক রূপ কি সত্যিই গ্রহণযোগ্য? একটি দেশের সংস্কৃতি তার জনগণের অনুভূতির প্রতিফলন। তাই, মতপ্রকাশের অধিকারকে লঙ্ঘিত করা আমাদের সমাজের জন্য একটি বিভ্রান্তিকর সময়কে নির্দেশ করছে।

    জনগণের অবস্থান এবং উদ্বেগ

    জনগণের মনোবল খুবই নিম্ন স্তরে। কবে রাজ্যের কর্মসূচি ও কাজের বণ্টনে সুবিচার হবে? এই ছুটির পেছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে? এটি উন্নয়নের চেয়ে বরং হৃতসিদ্ধির একটি নিদর্শন। সরকারি অফিসের বন্ধের সিদ্ধান্ত জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টা ভিন্ন দিকে যাচ্ছে, যা বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

    মিডিয়া এবং সমাজের দায়িত্ব

    মিডিয়া যদি সত্যিকার অর্থে দেশের জন্য কাজ করতে চায়, তবে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সংবাদ সঠিকভাবে তুলে ধরা। কিন্তু মাঝে মাঝে মিডিয়ার পক্ষ থেকে গোপন খবর ফাঁস হয়ে যায়। ফলে, জনগণের উদ্বেগকে বিবেচনায় নিয়ে কি তারা এখনো সংবাদ অনুসন্ধানের প্রতি আগ্রহী? প্রশ্ন থেকেই যায়।

    উপসংহার: আদর্শ এবং বাস্তবতা

    তাহলে, আমাদের কি বলা ও করার আছে? আমাদের সমাজের অন্তর্নিহিত সত্যগুলো নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার অধিকার রয়েছে। আমরা কি আদর্শের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো, নাকি আমাদের সমাজের চলমান সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে?

    মন্তব্য করুন