মৌসুমী বায়ু সরে যাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা যেন আমাদের সমাজের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাবের প্রতীক। আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্তমানে কিছুই অস্বাভাবিক নয়। রাজনীতির মাঠেও ঝড় উঠেছে, খেলোয়াড়েরা নিজেদের মূল্যের জন্য লড়ছে, অথচ জনগণের নিরাপত্তা যেন এক দুর্লভ কাব্য—কেউ শুনছে না।
রাজনীতির আকাশে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা
মৌসুমী বায়ু চলে যাওয়ার পর যখন বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষজনের মনে সংকেত ফুটে ওঠে। উপকূলে এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ার পরিবর্তন যেন মহাকাব্যিক নাটকের সূচনা করছে। এই অবস্থায় রাজ্যের স্থিতি রক্ষায় কতটুকু সচেতন, সেটিই প্রশ্নের সৃষ্টি করে।
আবহাওয়াগত পরিবর্তন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বারবার আতঙ্ক প্রকাশ করছেন। পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ যেন পুরনো কবিতার মতো—অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোজনের সক্ষমতা কেবল ব্যবস্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ, নাকি রাজনৈতিক সমস্যায় রূপান্তরিত হচ্ছে, সেটি ভাবনার বিষয়।
রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাসের দীপ্তি
এক ইংরেজ কবির বাণী মনে করিয়ে দেয়—“বৃষ্টির পরে কাদার স্থান হয়”; কিন্তু যখন নেতারা কল্যাণের কথা বলেন, তখন জনতার হাসি কাটতে চায়। যদি রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়িত না হয়, তবে সেই হাসির ঝড় অব্যাহত থাকে।
সামাজিক আন্দোলনের গতি
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমাজের একটি বৃহৎ অংশের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। “আমরা কি মৌসুমি বায়ুর জন্য অপেক্ষা করবো? খাদ্য ও নিরাপদ আবাসনের প্রতিশ্রুতি কি সদা ফিকে হবে?”—এমন প্রশ্ন উঠেছে। সমাজের নেতৃবৃন্দ যদি নিজেদের অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসেন, তবে সেটি গণমানসে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।
গণমাধ্যমের ভূমিকা ও সচেতনতা
গণমাধ্যম কখনও কখনও জনসাধারণের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। যদিও টেলিভিশনের পর্দা থেকে সত্য তুলে ধরতে চায়, কিন্তু আসল সমস্যা থেকে দূরে সরে যায়। সেই সাথে, প্রশ্ন জাগে—’রাজ্যের সৈনিকের মতো, কেন আপনারা মাঠে নামছেন না?’
জনমত ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
বাঙ্গালির মধ্যে শাসক দলের প্রতি সমালোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে। রাজনীতির ক্ষেত্রে যারা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম, তারা কি সত্যিই নিজেদের যেতে পারছে?
নতুন পরিবর্তনের আকাঙ্খা
সর্বোপরি, বর্ষা আসবে, গ্রীষ্ম যাবে; কিন্তু পরিবর্তনের দাবি অগ্রাহ্য করা যাবে না। রাজনীতি মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা আশা করে এবং মানবতার উন্নতি নিশ্চিত করে। কেননা, বাংলার আকাশে মেঘের আবরণে মানবসৃষ্টির আশা ও সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।