সম্প্রতি আদিত্য গোল রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনীর লেখনীতে রাজনীতির গতি-প্রকৃতি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে; বিদ্যুৎ বণ্টনের ইক্যুইটি নিয়ে আলোচনা যখন চরমে, তখন নেতাদের কার্যকলাপে জনমন ক্ষুব্ধ। ঐতিহ্যবাহী বাংলার এই নাট্যমঞ্চে, মঞ্চসজ্জা ও হালকা আলোচনায় সমাজের সংকট যেন গাঢ় হয়ে উঠছে।
বাংলায় রাজনীতির গতিপ্রকৃতিঃ আদিত্য গোলের প্রভাব এবং রাজনীতি
সম্প্রতি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ব্র্যান্ড ইক্যুইটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা আদিত্য গোল, রাজনীতির ক্ষেত্রে বাঙালি সমাজের গতিশীলতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের কার্যক্ষমতা এবং সদিচ্ছার অভাব নিয়ে জনপ্রিয় সমালোচনার মাধ্যমে সামাজিক বিভিন্ন বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছেন।
রাজনৈতিক নেতা এবং জনগণের প্রত্যাশা
বাংলার রাজনৈতিক প্রচারণা ও কৌশলের পুনরাবৃত্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিতে সৎ রাজনীতির গুরুত্ব। বিদ্যুৎ সংস্থার অব্যবস্থাপনা সমাজে শঙ্কা ও হতাশা তৈরি করেছে, যা আমাদের দৃষ্টিতে অতি গুরুতর।
গণতন্ত্রের চলন
আমরা যদিও গণতান্ত্রিক দেশ, আদিত্য গোলের লেখা আমাদের সতর্ক করে যে সঠিক নেতৃত্বের অভাব আমাদেরকে দিশেহারা করে রেখেছে। তিনি স্থানীয় সরকারের দুর্নীতি এবং এর ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা আমাদের চিন্তায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
জনসাধারণের জন্য সাধ্য কেন?
আমাদের মনে প্রশ্ন উঠছে, আদিত্য কেন এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখছেন? নিঃসন্দেহে, তিনি জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির আশা করছেন। তাঁর লক্ষ্য শুধু রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা।
রাজনীতির গল্প
আদিত্য গোলের সমালোচনা ঠিক তেমনই যেন ঠাকুরের উদ্ধৃতি—”জাঁকজমকের শোভা আছে, কিন্তু গভীরতার অভাব!” আমাদের সমাজের নেতারা নিজেদের আকাশে উড়ছেন, আর সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক প্রয়োজনগুলির আকাশে এবং অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে; তাদের কল্যাণের প্রতি কোনও মনোযোগ নেই।
শেষ কথা: সমাজের প্রতি দায়িত্ব
আদিত্য গোলের লেখাগুলির বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, তাঁর উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার—প্রতিটি নাগরিকের উচিত সচেতন হওয়া। রাজনীতি এবং সৃজনশীলতার মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, সেটি নতুন প্রজন্মের জন্য একটি অঙ্গীকার। এতে কেবল সরকারের দায়িত্বই নয়, বরং পুরো সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি।