সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ঘটনায় শাসক এবং শাসিতের সম্পর্ক যেন নতুন এক নাটকের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। তাঁর স্ত্রীর আবেগপূর্ণ মন্তব্যে সমাজের চেহারা উন্মোচন হয়ে যায়; কি অদ্ভুত, একটি মামলা আমাদের গণতন্ত্রের বিশাল কৌতুকের মুখোশ তুলছে, যেখানে শ্লেষ আর বাস্তবতার খেলায়, সভ্যতার বেহাল দশা প্রতিভাত।
সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির নাটক: অভিজিৎ মণ্ডল এবং মুখরোচকদের গল্প
আরজি কর মামলায় সিবিআই টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে, যেন প্রহসনের নতুন এক দৃশ্য। এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তাঁর বাড়িতে যান, সামাজিক সংলাপের পটভূমিতে।
মুক্তিযুদ্ধের কি শুধুই এবং শুধুই নিয়ম?
অভিজিতের স্ত্রী বললেন, ‘নিজের বেস্ট দিয়েছিল, আমারও ২ মেয়ে আছে, আমি ফিল করতে পারি।’ এই মন্তব্যে রাজনৈতিক জগতের এক বিপর্যয়ের প্রতিফলন ধরা পড়ে। কি নিদারুণ পরিহাস, কতিপয় নেতার স্বার্থের জন্য সাধারণ নাগরিকের জীবন যেন বরাবরই ঝুঁকির মুখে।
সামাজিক অভিঘাত এবং জনমত
রাজনৈতিক ভূবনে এমন মিথ্যে প্রতিশ্রুতির মাঝে জনগণ কি করবে? সবার আশা এবং ভরসা কিভাবে ভেঙে যায়, তা অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী’র কথায় ফুটে উঠছে। এই নৈরাজ্যের মাঝে দেশের সরকার এবং শাসকদের কাছে আমাদের কী প্রত্যাশা?
আজকের দিনে, যখন সিবিআইয়ের গ্রেফতারি একটি নাটক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সমাজের বৃহত্তর সমস্যা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম আরও তীব্র হতে হবে। যেন রাজনীতির জগত থেকে অন্ধকার দূরীভূত হয়।