সিবিআইয়ের গাড়ির সামনে অভিজিৎকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ, ‘কলকাতা পুলিশ হায় হায়’ স্লোগান। এই দৃশ্য যেন আমাদের গর্বিত শাসকদের জন্য একটি নিদর্শন, যাঁরা নাগরিকের ন্যায়ের সুরক্ষা করতে কৃপণ। জনগণের ক্রোধে গর্জে উঠছে, সভ্যতার বুকে নৌকার দোলনায় আবারও উঠছে প্রশ্ন, সত্যিই কি বিচার হবে?
কলকাতার বিক্ষোভে অভিজিৎকে নিয়ে সিবিআইয়ের নাটক
অভিজিৎকে নিয়ে সিবিআইয়ের গাড়ি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোতেই শুরু হল তুমুল বিক্ষোভ। জুতো হাতে পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠে, ‘কলকাতা পুলিশ হায় হায়’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। জনতার চিত্কারে শোনা যায়, তাদের ক্ষোভের জোয়ার যেন প্রশাসনের অন্ধকারে আলো ফেলেছে।
নেতৃত্বের উত্থান ও পতন
এ বৃহস্পতিবার, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি মাত্র একটি নতুন পাতা নয়, বরং রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতা ও জনমানসে পরিবর্তনের লক্ষণ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ইঙ্গিত করে, সমাজের বুকে যে অবিচারের কাঁপুনি চলেছে, তা এখন আরও দৃশ্যমান।
গণতন্ত্রের বিচিত্র রূপ
রবীন্দ্রনাথের ধারায়, এই আন্দোলন যেন সমাজের মুখের ওপর একটি চা-চক্রের রঙ্গভঙ্গ, যেখানে উত্তাল অতীতের ফ্যান্টাসি ও বর্তমানের জাতিগত সত্তার সংঘাত দেখা যায়। ঘুমন্ত গণতন্ত্র আবার খোঁজে অন্তর থেকে উঠে আসা শুভবুদ্ধি।
মিডিয়া ও জনমতের আয়না
মিডিয়া আজ সেই আয়না, যেখানে জনগণের হাসি ও কান্না উভয়ই দেখতে পাওয়া যায়। ‘কলকাতা পুলিশ হায় হায়’ স্লোগান যেন রাজ্য রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। জনতার নিঃসঙ্গতা ও শহুরে জীবনের বাস্তবতা এখন একাকার।