সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতির পরও ১২ দিন পার হলেও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। প্রশাসনের এই অব্যবস্থাপনা প্রশ্ন তোলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির সত্যতা নিয়ে, যেখানে চিকিৎসকরা অসন্তুষ্ট। কি আশ্চর্য, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি আর বাস্তবতার হৃদয়-ভাঙা সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের সমাজ আজও প্রতারিত।
রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সংস্কারমূলক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা সাত থেকে চোদ্দো দিনের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে। কিন্তু ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখনো কার্যত কিছু করেনি। ডাক্তারদের মধ্যে বিরক্তি বাড়ছে এবং তারা প্রশাসনের অবহেলা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের কার্যকারিতা
এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক বিতর্কের নতুন মাত্রা তৈরি করছে। যে নেতারা আক্রান্তদের সুরক্ষার কথা বলেছিলেন, তারা এখন নির্বিকার। তাদের প্রতিশ্রুতির কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ, এবং তারা মনে হচ্ছে কেবল মন্তব্যের মাধ্যমে অবস্থা সামাল দিতে চাইছেন।
সামাজিক প্রভাব: ডাক্তারদের উদ্বেগ ও প্রশাসনের অবহেলা
প্রশ্ন উঠছে: এই সমস্ত প্রতিশ্রুতির মানে কী? প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং সমাজের অসন্তোষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরছে। ডাক্তাররা যখন বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত, কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা কী?’ তখন এটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করছে।
গণতন্ত্রের সংকট
রাজ্য সরকারের এই অবহেলা গণতন্ত্রের সত্যিকার অর্থে সংকট তৈরি করে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব সত্যিই কি কেবল কথার উপর নির্ভর করে? ‘নিচে গেলাম, উপরে কি খবর?’—এমন প্রশ্ন আমাদের সমাজে প্রচুর। প্রশাসনের এই অবহেলা গণতন্ত্রের জন্য একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
মিডিয়ার ভূমিকা: দায়বদ্ধতার অভাব
মিডিয়া কি যথাযথভাবে এই বিষয়গুলো তুলে ধরছে, নাকি অন্য কিছুতে ব্যস্ত? সংবাদ মাধ্যমের বর্তমান ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যে কি মিডিয়ার আরও সক্রিয় হওয়া উচিত?
সমাজের নতুন আওয়াজ
সাধারণ মানুষ এখন আরও সচেতন হচ্ছে। তারা অপেক্ষা করছে এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের জন্য। “এই ব্যর্থতার জন্য আমাদের কি মূল্য দিতে হবে?”—এই প্রশ্ন আজকাল অভিন্ন হয়ে উঠেছে। সমাজের সদস্যদের নিরাপত্তা কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করবে?
গতি ও কৌশল
এই আন্দোলন এবং অসন্তোষের মধ্যে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তি জন্ম নিচ্ছে, যা আমাদের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদের মনে রাখতে হবে, জনগণ এখন শুধু কথার অপেক্ষা করছেনা—তারা কার্যকারিতা চান।