NewZclub
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: নেতাদের দ্বন্দ্বে রাজনীতির খেলার নতুন অধ্যায়, কি শিক্ষাটা আমরা নিচ্ছি?
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে রাজনীতির কাঁচায় নতুন রঙ ফুটে উঠেছে। সিপিএম নেতৃত্বের নির্দেশে নকশাল সিনিয়ররা আন্দোলনের তাগিদে, অথচ সিনিয়র ডাক্তারদের সরে দাঁড়ানো নতুন সংকটে পাক খাচ্ছে। এ যেন সরকারের নাকের ডগায় অস্থিরতা; সমাজের আশা আর রাজনৈতিক দায়িত্ববোধের মাঝে এক বিস্তৃত দূরত্ব। কোথায় গেল সেই জনগণের সেবক, যখন চিকিৎসকদের স্বার্থই প্রকট? বিতর্ক, আলোচনা আর অনশন—এ দেশ তো আজও তাদের সেবা চায়, যদিও গদিতে বসা মানে যে সেবা নয়, তা রাজনৈতিক মহলে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
“জাপানে ‘লাপাটা লেডিজ’ – বলিউডের সাফল্যের নতুন অধ্যায়! কি বদলাতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের যাত্রা?”
বলিউডের 'লাপাতা লেডিজ', যেখানে কিরণ রাওয়ের পরিচালনায় দুটি বিদাবতী যে কাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি হৃদয় স্পর্শকারী গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের হৃদয় জিতে নিয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ী এবং অস্কারে মনোনীত এই ছবি, আজ জাপানে মুক্তি পেয়ে নতুন মাতামাতি শুরু করেছে। সমাজের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার মাধ্যমে সিনেমা দেখায় আমাদের প্রেফারেন্সের পরিবর্তন এবং নতুন ধারার গল্প বলার প্রতি আগ্রহের প্রতিফলন ঘটেছে।
আশিসের অবৈধ উন্নতি: যোগ্যতার অভাবে ডাক্তারি, সমালোচনা ও প্রশ্নের বন্যায় রাজনৈতিক প্রভাবের নতুন চিত্র!
স্বাধীনতার পরেও, চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আশিসের যোগ্যতা বিবেচনায় অব্যবস্থার প্রতিফলন স্পষ্ট। সন্দীপ ঘোষের আশীর্বাদে অযোগ্যতা আড়াল করলেও, সমাজের সুস্থতা নয়, গোষ্ঠীগত নীতির প্রতি মানুষের অন্ধ আনুগত্যই যে আজকের শাসকের পক্ষে মূলমন্ত্র, তা বুঝতে দেরি হচ্ছে না কারও।
“গভিন্দার বন্দুকের গুলিতে আহত হওয়ার পর সমর্থকদের প্রার্থনায় আবেগময় মুহূর্ত – চলচ্চিত্র জগতের চাক্ষুস সাক্ষী!”
গুঞ্জন চলছে বলিউডে, যখন গায়ক গোভিন্দ বন্দুকের গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ৪ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া পর, স্ত্রী সুনিতা জানিয়েছেন দর্শকদের আশ্বস্তকরণের কথা। সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের ভালোবাসা এর একটি বড় অংশ, যা চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে শিল্পীর গভীর সম্পর্ক নির্দেশ করে, এমনকি একটি মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যেও।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারকের নির্দেশ: রাজ্যের কার্যক্রমে নতুন সংশয়, মহেশ জেঠমালানির নতুন মামলা!
চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে একটি গুরুত্বপর্ণ বিষয় ফের উত্থাপিত হলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। এদিকে, মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি হাইকোর্টে আবার আবেদন করেছেন। তাহলে কি বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা, যা সমাজের মানসিকতার ঠিকানা, সে পথে হাঁটছে, নাকি এটি নিতান্তই রাজনৈতিক খেলা?
“মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুর্যোগ’ গানে বর্ষা ও বন্যার বাস্তবতা: ক্ষমতায় ভীতি, জনগণের মাঝে অনিশ্চয়তার চিত্র”
মুখ্যমন্ত্রী টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপে গানে বর্ণিত দুর্যোগ শব্দটি ধারাবহিক বর্ষা ও বন্যার প্রেক্ষাপটে শুনিয়ে দিয়েছেন, ভাবাবেগে নিপুণ কৌশলী। 'দুর্যোগ' মানেই ভয়ের আতঙ্ক; তবে এ আতঙ্কে শাসক ও শাসিতের মাঝে যেন নতুন এক নাটকীয়তা তৈরি হচ্ছে—সমস্যার প্রতিক্রিয়া, পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা, এবং শাসনের দায়িত্বের চাপ। राजनीति ও সমাজের এই অবস্থা, রবীন্দ্রনাথের কলমের খোঁচায়, যেন এক পরিহাস।
“কৃষকদের বিপদে সরকারের মিছিল: বাজারে কমলেন আলুর দাম, তবে কি এটাই দেশসেবার উদাহরণ?”
রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের চেষ্টা সত্ত্বেও আলুর দাম কমানোর চেষ্টায় মাত্র কিছুটা ফলাফল মিলেছে। তিন মাসে ৫০-৫৫ টাকার দামে বিক্রি হওয়া আলু এখন ৩২-৩৪ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা রাজ্য সরকারের বিচারেও বেশী। কৃষকদের দুয়ারে গিয়ে সবজি কেনার এই উদ্যোগে সরকার জানাচ্ছে, তারা সাধারণ মানুষের সেবক, অথচ ভোক্তাদের পকেটে হাত দিয়ে সস্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে, যেন খেলোয়াড়েরা গাদাগাদি করে গোল করেও জয়ের আনন্দে হারমানের কথা বলছে। সমাজে দামে কৃত্রিম পরিবর্তন আনতে গিয়ে সরকার যে মানবিক সংবেদনশীলতা হারাচ্ছে, তা কি সত্যিই নজর এড়াবে?
“নিয়োগের দীর্ঘ প্রতীক্ষায়, রাজনৈতিক জট কাটিয়ে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকের মেধাতালিকা প্রকাশ, বিপরীতে বিরোধীদের চাপ!”
দীর্ঘ নয় বছরের আইনি জটের পর, অবশেষে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগে আশার আলো দেখা গিয়েছে। ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং, যা দুর্গাপুজোর পর আবারও হবে। কিন্তু বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করছে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদের মামলাগ্রস্ত ছিল—যার ফলে শাসনের নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে, সমাজের প্রতিচ্ছবি যেন বলছে, রাজনৈতিক নাটকের পাতা খুলে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে—যেখানে শিক্ষার আলোতে রাজনৈতিক ছায়া গাঢ় হয়ে উঠছে।
“তুলির ছোঁয়ায় মমতার শিল্পী আত্মপ্রকাশ: রাজনীতির রং বদলের প্রতিচ্ছবি!”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির প্রতি অনীহা প্রকাশের মাঝে, পুজো উদ্যোক্তাদের উক্তি যেন এক অদ্ভুত নাটকের কাহিনী ফাঁস করেছে। নেতা যখন সময়ের অভাবের দোহাই দেন, তখন জনগণের স্রোতে তার তুলির ছোঁয়া যেন রাজনীতির ক্যানভাসে একটি নিখুঁত কঠিন বাস্তবের রঙ। কি ভাবুকতা, যখন ক্রমশ বিবর্ণ রাজনীতির মাঝে শিল্পের আলোর এক ঝলক মিলছে!
“রাজনীতির নাট্যমঞ্চে শুভেন্দুর তির্যক ভাষণে তৃণমূলের লুম্পেনরাজের বাস্তবতা উন্মোচন!”
শুভেন্দুবাবু বলেছেন, আশিস পাণ্ডে তৃণমূলের পাণ্ডা, যেন এক প্রাচীন কাহিনীর লুম্পেন চরিত্র। সিন্ডিকেটের শাসন আর সন্ত্রাসের জমিদারি এই নেতার হাতে, যেখানে রাজনীতি হয়ে উঠেছে ক্ষমতার চোরাগলি। এ এক নতুন মানবনিধনের গল্প, যেখানে গতি আর গতিহীনতা, সমাজের সুরে সুর লাগায় বটে।