গত রাতের বৈঠক, যেখানে ‘মিনিটস’ নিয়ে তর্ক চলছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অদ্ভুত এক নাটক unfold হয়। শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ, টালা থানার প্রাক্তন ওসির গ্রেফতারির খবর নিয়ে বৈঠক বাতিল হওয়ায় প্রশাসনের দুর্বলতা প্রকাশ পেল। রাজনৈতিক নাটকের এই পর্বে নেতাদের সখ্যতা ও শত্রুতার মাঝে জনমানসে আরও একবার রচনা হলো প্রশ্নবোধক দৃষ্টি। কে না জানে, এই নাটকের পেছনে বাস্তবের কঠিন সত্য ঝিলমিল করে, সমাজের অন্দরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিহ্ন রেখে।
রাজনৈতিক নাটক: শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ
গতরাতের বৈঠকে শুধু ‘মিনিটস’ নিয়ে আলোচনা করায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারির খবরে বৈঠক বাতিল করেছেন। রাজনীতির এই এক অদ্ভুত নাটক যেন আমাদের সমাজের গভীরতার দিকে একটা স্যাটায়ার।
গভর্নেন্সের টানাপোড়েন
এটা স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কার্যকলাপ এখন জনগণের বিশাল সমর্থন লাভের পরিবর্তে নিজেদের সুরক্ষার দিকে মননিবেশ করে। শুভেন্দুর অভিযোগ যেন সেই রক্তাক্ত রাজনীতি, যেখানে প্রশাসন ও রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে একে অপরকে নিপেষণ করতে।
সমাজের প্রতিচ্ছবি
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ভিতরে ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। আর আবার, চোখের সামনে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তা কি ভোট বাক্সে আকর্ষণ আনতে সক্ষম হবে? সাধারণ মানুষ কি আদৌ রাজনীতির এই নাটকের অংশীদার হতে চায়?
মিডিয়ার ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ
এমন হৈচৈয়ের মধ্যে মিডিয়া কি সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে, নাকি রাজনৈতিক চাপের সামনে তারা অবশেষে অবচেতন হয়ে পড়ছে? সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা আজকাল প্রশ্নবিদ্ধ, যেখানে সত্যের চেয়ে নাটকীয়তা বেশি পছন্দ করা হচ্ছে।