নব্বইয়ের দশকের বিখ্যাত অভিনেতা গোবিন্দার স্ত্রী সুনিতা আহুজা সম্প্রতি তার তারকা স্ত্রীর জীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে তিনি রিয়ালিটি শো বিগ বসে অংশগ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সুনিতা বলছেন, তার মতো একজন ব্যক্তির হোস্ট হওয়া উচিত, প্রতিযোগী হয়ে নয়। এছাড়াও, তিনি কফি উইথ করণে অংশ নিতে চান এবং অতৃপ্তির কথাও জানিয়ে বলেন, ‘কারণ দেখেন, আমি যদি ডাক পাই, তা হলে রেটিংস বাড়াতে পারব!’ এই মন্তব্যগুলো চলচ্চিত্রের জগতের জটিলতার পাশাপাশি মিডিয়া উপস্থাপনের পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।
সেলিব্রিটি জীবন: স্বামীর ছায়ায় বা নেহাতই স্বকীয়তা?
৯০-এর দশকের বিখ্যাত তারকা গঙ্গা, গাভিন্ডা’র স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে সাম্প্রতিক একটি আলোচনায় সুনিতা আহুজা তাঁর অসাধারণ স্বভাবকে প্রমাণ করেছেন। তিনি একাধিক দিক তুলে ধরেছেন, যেখানে যোগ করেছেন স্বামীর কর্মজীবন এবং সেলিব্রিটি জীবনের নানা দিক। সুনিতা বলেন, “আমার সাথে প্রশ্ন করা হয়, কিন্তু আপনি কি কখনো গৌরী খানের কাছে এ ধরনের প্রশ্ন করবেন?” তিনি যে প্রশ্ন দিলেন, তা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একটি বড় বাস্তবতা তুলে ধরে।
বিগ বসের প্রস্তাব এবং সুনিতার প্রতিক্রিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে ‘টাইমআউট উইথ অঙ্কিত’-এ সুনিতা আহুজা বিগ বসের মতো রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণের প্রস্তাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, বিগ বসের জন্য গত চার বছরে তাঁকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সে সমস্ত প্রস্তাব অস্বীকার করে বলেছেন, “আমার অবস্থান এমন যে, আমি প্রতিযোগী হতে পারি না, আমি হোস্ট হব।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা কি আমাকে বলছেন, আমি কি টয়লেট পরিষ্কার করি?”
সামাজিক অবস্থান এবং চলচ্চিত্রের চিত্রণ
সুনিতা তাদের জন্য প্রশ্ন তুলেছেন, “কি, শাহরুখ খানের স্ত্রীর কথা শুনলেন? আপনি কি ভাবেন আমরা আর্থিক সংকটে আছি?” এর মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের সামাজিক মর্যাদা এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
কফি উইথ করাণ: সুনিতার প্রতীক্ষা
তিনি কফি উইথ করণে অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষার কথা জানিয়ে বলেন, “আমি যখনই ডাক পাব, আমি অবশ্যই মজা করব।” এভাবে তিনি জনপ্রিয় শোতে অংশগ্রহণের ওপর তাঁর আশা প্রকাশ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে করণের শোতে তার উপস্থিতির ফলে টিআরপি বৃদ্ধি পাবে।
গাভিন্ডার নারীরা: সংসারের চাহিদা
সুনিতা বলেন, “অবশেষে রাতের শেষে সে বাড়ি আসে।” এর মাধ্যমে তিনি তাঁর স্বামীর উপর নারীদের মনোযোগের বিষয়ে একটি প্রাসঙ্গিক কথা তুলে ধরছেন, যা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মানসিকতার দিকে ইঙ্গিত করে।
বাণিজ্যিক সফলতা বা সমাজের ঐতিহ্য?
সমালোচনামূলকভাবে দেখতে গেলে, সুনিতার বক্তব্যগুলি বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থার প্রতিফলন সাধন করে। যেখানে চলচ্চিত্রের মাঝে সিনেমার নারীদের চিত্রণ এবং তাদের মতো তারকাদের সমাজে পৌছানো শারীরিক ও মানসিক সংকট ভাবনার শীর্ষে। সুতরাং, দর্শকের চাহিদা এবং সিনেমার গল্প বলার কৌশলগুলির সাথে বদলানোর প্রয়োজনীয়তা সবসময় উপস্থিত।