গতকাল একটি আন্দোলনে নির্যাতিতার মায়ের আকুতির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের নীতির প্রতি প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেছিলেন, যদি আন্দোলন থেমে যায়, তাহলে সত্যিকার তদন্তের আশা কি? এই প্রশ্ন বিজ্ঞতা ও বিদ্রূপের মিশ্রণে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াশীলতার দিকে আঙ্গুল তোলেছে, যেখানে ক্ষমতা কার্যকরীভাবে অগ্রসর হচ্ছে, কিন্তু জনগণের কণ্ঠস্বর কোথায়?
রাজনৈতিক সংকট: আন্দোলনকারীর মায়ের বিবৃতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
গতকাল, নির্যাতিতার মা’র একটি বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, “যতদিন আন্দোলনের চাপ ছিল, তদন্ত সঠিক পথে চলছিল। যখন আন্দোলন থেমে গেল, তখন সিবিআইয়ের কাজ করাও কঠিন হয়ে যাবে।” তার এই বক্তব্য এবং বাস্তবতা নিয়ে বর্তমানে গজনবী রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
আন্দোলনের গুরুত্ব এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব
আন্দোলন ছাড়া কি সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? মায়ের বক্তব্যে একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে, যে আন্দোলনের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে সঠিক পথে এগোতে বাধ্য করা যায়। এখানে প্রশ্ন উঠছে, কেন রাষ্ট্রকে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের মুখে পড়তে হয়? কেন জনগণের একযোগ অবস্থান নিয়ে বারবার সোচ্চার হতে হয়?
নেতাদের প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের প্রত্যাশা
এদিকে, জনগণের অসন্তোষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি বেড়ে চলেছে। রাজনৈতিক সংকটের সময়, নেতাদের মুখে নতুন নতুন চাটুকারী কথা শুনা যায়। তারা সঠিক জবাবদিহির পরিবর্তে রাজনৈতিক খেলায় লিপ্ত হয়ে থাকেন, যেমন রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “মাছের মতো কথা বলি—জল ছাড়া ছাড়া।” জনগণের হতাশা এবং বাস্তবতার অন্ধকার ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
মিডিয়া এখন বিভ্রান্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত। কখনও সরকারের সমর্থক, কখনও জনগণের ভরসা। সাংবাদিকতা যা একসময় গণমানুষের জন্য ছিল, বর্তমানে তা প্রায় রাজনৈতিক প্রচারণার অংশে পরিণত হয়েছে। তবে কিছু সাহসী সাংবাদিক তারুণ্যের কাতারে থেকে সরকারের নীতির সমালোচনা করতে প্রস্তুত।
জনগণের হতাশা এবং নতুন সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা
জনমত এখন দুই ভাগে বিভক্ত—একদল নীরব রয়েছে, অন্যদল পথে নেমেছে। আন্দোলনের সম্ভাবনা এখনও শক্তিশালী। মায়ের বক্তব্য নিশ্চিত করেছে যে, আন্দোলন থামলে সিস্টেমও অচল হয়ে যাবে। তাই, রাষ্ট্র ও সমাজের পরিবর্তনের জন্য এখন প্রয়োজন একটি সংগঠিত আন্দোলন, যা জনগণের মধ্যে বিশ্বাস এবং আশার আলো ফিরিয়ে আনতে পারে।
উপসংহার: আন্দোলনকে নতুন করে গড়ার সময়
নির্যাতিতার মায়ের এই বক্তব্য রাজনৈতিক নাটকের পটভূমিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিষয় এবং সমাজের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে, এই সময়ে আরও একটি সংগঠিত আন্দোলনের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। এটি শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকেরও। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “চারিদিকে ঝড় উঠলে, অগ্রসর হতেই বা আমাকে কি।” এটির উত্তর হবে, “সেদিন আমি আর দাঁড়িয়ে থাকবো না।”