নির্যাতিতার বাবা-মার প্রতি শ্রদ্ধা, রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষের কঠোর সঙ্কেত

NewZclub

নির্যাতিতার বাবা-মার প্রতি শ্রদ্ধা, রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষের কঠোর সঙ্কেত

রাষ্ট্রের সংকটের কালাত্মক চেহারায় কুণাল ঘোষের কথায় মিলেছে এক ভয়াবহ সনাক্ত—নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অপূরণীয় দায়িত্বের বোধ। শাসকের রাজনৈতিক খেলোয়াড়ি যেন ফাঁকা গৌরবের অবসান ঘটিয়েছে, যেখানে স্বার্থান্বেষী জোটের আদর্শ চাপা পড়ে গেছে মানবতার নিদারুণ চাহিদার নিচে। আমাদের নিঃশব্দ প্রবাহে কী এক হতাশা, রাষ্ট্রনায়করা হাতজোড় করে দায় মেটাতে নারাজ, যোগ্যতা ভুলে স্বার্থের ভিড়ে তলিয়ে।

নির্যাতিতার বাবা-মার প্রতি শ্রদ্ধা, রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষের কঠোর সঙ্কেত

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী পাঠানোর দাবি, ইঙ্গিত সংঘাতের এবং ইউনুসের সরকারের অক্ষমতার দিকে – Read more…
  • শিক্ষার্থীদের খাবারে ডিমের দাম বৃদ্ধি, সরকারের বরাদ্দে ঘাটতি ও শাসনের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজ – Read more…
  • বিচারপতি সূর্যকান্তের মন্তব্য: আদালতে কর্মসংস্কৃতি প্রয়োজন, রিপোর্ট জমা না হওয়ায় চাঞ্চল্য! – Read more…
  • ধর্না মঞ্চে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের কুরুচিকর মন্তব্যে উত্তাল সোনারপুর, তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – Read more…
  • পুলিশের হাতে গ্রেফতারি: জনগণের নিরাপত্তা বা শাসনের ফালতু ব্যবহার? – Read more…
  • রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মাঝে ‘নির্যাতিতা’: একটি চেতনাবোধের উদ্ভব

    সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে কুণাল ঘোষ একটি তীব্র বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নির্যাতিতার বাবা মার প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। স্বার্থান্বেষী কিছু দলের পাল্লায় পড়ে তাঁদের যে স্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য দায়ী আপনারা।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে কুণাল ঘোষ আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার একটি কঠিন দিকের প্রতি আলোকপাত করেছেন।

    রাজনীতির প্রেক্ষাপটে মানুষের আশা ও বাস্তবতা

    বিংশ শতাব্দীর আধুনিক রাজনীতি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার মধ্যে এক সংকট তৈরি করেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব কতটা জনগণের কণ্ঠস্বর শোনেন, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। কুণাল ঘোষের মন্তব্য একটি স্পষ্ট সংকেত যে সমাজের চেতনাবোধ পরিবর্তন হচ্ছে। তাঁর বক্তব্যের ফলে নতুন একটি আলোচনার সূচনা হয়েছে জনমানসে।

    স্বার্থের লড়াই: কার স্বার্থ এবং কার ক্ষতি?

    রাজনীতির স্বার্থের লড়াই শুধু একজনের নয়, এটি সমাজের স্বার্থের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুণাল ঘোষের মতে, নির্যাতিতার পরিবারকে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থে ব্যবহারের ঘটনা আমাদের সামনে একটি বাস্তবতা উন্মোচন করছে। সেই পরিবারটির অবস্থান কোথায়? তাদের কান্না এবং কষ্ট কি রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো আমাদের ভাবতে বাধ্য করে।

    মিডিয়ার ভূমিকা এবং সমাজের চেতনা

    আমাদের চারপাশের মিডিয়া জনগণের মননে প্রভাব বিস্তার করতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য এবং কার্যক্রম সমাজের চেতনা নতুনভাবে সাজাতে সক্ষম। কুণাল ঘোষের বক্তব্য থেকে মানুষ একটি বার্তা গ্রহণ করছে যে তাদের স্থবিরতার পেছনে রাজনীতির হাত রয়েছে। মিডিয়া যদি মূল ঘটনাগুলি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারে, তবে সমাজের আত্মজাগরণ সম্ভাব্য।

    প্রতিবাদে মানবিক জাগরণ

    রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মাঝে জনগণের প্রতিবাদ এখন একটি নতুন রূপ নিয়েছে। কুণাল ঘোষের বক্তব্যের আবেগ আমাদের মননে নতুন দিগন্তের সূচনা করার সম্ভাবনা রাখে। মানুষ বাবার হাতজোড়ের মাধ্যমে কেবল কুণাল ঘোষের প্রতি আস্থা দেখাচ্ছে না, বরং নিজেদের স্বার্থে দাবি আদায়ের সুযোগ হিসেবে দেখছে। এই জਾਗরণ সমাজের কাঠামোকে পরিবর্তন করতে সহায়ক হবে।

    সমাপনী মন্তব্য

    বর্তমান সময়ের রাজনীতি, সমাজ এবং জনগণের মধ্যে সংঘটিত মিথস্ক্রিয়া কেবল সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নয়; এটি সমাজের চেতনাবোধের জাগরণ হিসেবে কাজ করছে। কুণাল ঘোষের বক্তব্য এখানে একটি নতুন প্রবাহ সৃষ্টি করেছে, যা মনে করিয়ে দেয়, রাজনীতি কেবল শাসন নয়, এটি জনসাধারণের সঙ্গে একটি সম্পর্ক গড়ার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার ক্ষতি না করে পরিবর্তনের নতুন দিগন্তে যেতে হবে।

    মন্তব্য করুন