আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তার আইনজীবী ও পুলিশের আধিকারিকদের দৌরাত্ম্যে যে অন্যায়ের আঁতাত দেখা যাচ্ছে, তা আজকের শাসকের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। সরকার এবং সমাজের মধ্যে বাণিজ্যিক খেলা শুরু হয়েছে যেন চিকিৎসা একটি সামগ্রী, মানবতা অচেতন। নাটকের এই মোড়ে, জনগণের আস্থা তলানিতে, কিবা সমাজের জন্য এই দুঃশাসন?
সন্দীপ ঘোষ এবং রাজনৈতিক সংকটের অবনতিপ্রবণতা
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম উঠে আসা মানে যেন একটি নতুন রাজনৈতিক নাটকের সূচনা। হাসপাতাল পরিচালনা, আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে ঘটে চলা ঘটনা গুলো আমাদের ভাবনার জগৎকে আলোকিত করছে। সন্দীপ ঘোষের পুলিশ মহলের সঙ্গে সম্ভব যোগসাজশ সত্যিই উদ্বেগের পদক্ষেপ। মনে হচ্ছে, এখানে প্রতিটি চরিত্রই এক একটি নাটকের অংশ।
আইন ও শৃঙ্খলা: একটি সংকেত
এই সংকটের মধ্যে জনগণের মনে উঁকি দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন: “আইন কি সকালের সবার জন্য সমান?” এবং “বিচার ব্যবস্থা কি সত্যিই নিরপেক্ষ?” সরকারের শাসন, পুলিশের দায়িত্ব পালন এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে কি পরিবর্তন ঘটছে—এগুলোই এখন জনগণের আলোচনায়। আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে উদ্ভূত উদ্বেগজনক নীতিগুলি সমাজে সমালোচনা সৃষ্টি করছে, যা পুরো পরিস্থিতিকে এক নতুন রূপ দিচ্ছে।
জনতার মনোভাব: পরিবর্তনের ইঙ্গিত?
সরকারের উদাসীনতা জনতায় ক্ষোভ তৈরি করছে। দেশের গৌরব তুলে ধরে সেই পুরোনো স্মৃতি এসে কষ্ট দেয়, যখন সঠিক শাসনের অভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। জনতা মনে করছে, “আমরা তো শুধু একটি নাটকের অংশ!” কি এটা মেনে নেওয়া সম্ভব? আমাদের উচিত কি চলার পথে এগিয়ে যাওয়া?
মিডিয়ার দৃষ্টি: এক বিরূপ প্রতিচ্ছবি
এদিকে, মিডিয়ার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে—“সাংবাদিকতা কি শুধুই স্বার্থের চক্র?” ইতিহাসের উদাহরণ দেখলে বোঝা যায় যে, রাষ্ট্রের দুর্নীতি আড়াল করতে মিডিয়া কয়কটি ক্ষেত্রে অভিযোজিত হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, “জাতির কণ্ঠস্বর কোথায়?” আমাদের জানার অধিকার কোথায়? মহামারীর জন্য দায়যুক্ত চিকিৎসকরা কি টেলিভিশনে ভূমিকা রাখবেন?
রাজনৈতিক নাট্যশালায় জনগণের গুরুত্ব
যদি জনগণ নিজেদের সত্যিকার ভূমিকা বুঝতে পারে, তাহলে আমরা সম্ভবত পুরোনো দিনের স্বরূপে ফিরতে পারবো। জনগণের সজাগ দৃষ্টির প্রয়োজন, তাদের দাবি ও চাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সন্দীপ ঘোষ, আইনজীবী এবং পুলিশ—এই সমন্বয়ে আমাদের আরও সময় বিলম্ব করা উচিত নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা আমাদের প্রেরণা দিতে পারে: “মানুষকে সত্য বলুন, সত্য বলুন, আর বলুন।”