বলিউড অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি তার দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা মানবতার প্রতি তার দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করে। ১৩ ডিসেম্বর লাইঅন গোল্ড অ্যাওয়ার্ডসে এই ঘোষণাটি করবেন তিনি। পাঞ্চোলি বলেছেন, “আমি সমাজের কাছে কিছু ফেরত দিতে চাই।” তার স্ত্রী জরিনা ওয়াহাব মেনে নিয়েছেন, তার স্বামী কখনোই অত্যাচারী নন এবং একাধিক অভিযোগের পেছনে ব্যবহৃত হয়েছে পুরনো সম্পর্কের থিম। এই ধরনের সাহসী সিদ্ধান্ত এবং সম্পর্কের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে সহানুভূতির গুরুত্ব বাড়ায়।
অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির মানবিক গতি: মৃতদেহ মেডিকেল বিজ্ঞানে দান
বলিউডে নতুন একটি চমক দিতে চলেছেন অভিনেতা আদিত্য পাঁচোলি। সম্প্রতি, তিনি তার মৃতদেহ মেডিকেল বিজ্ঞানে দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এই সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য গবেষণা এবং শিক্ষার সমর্থনে একটি বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ১৩ই ডিসেম্বর লায়ন গোল্ড অ্যাওয়ার্ডসে এই ঘোষণা করবেন।
একটি মহান সিদ্ধান্ত মানবতার জন্য
এবিপি লাইভের একটি প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করা হয়েছে আদিত্য পাঞ্চোলিকে, যিনি এই মহান কাজের পেছনের প্রেরণা সম্পর্কে বলেছেন, “অভিনেতা হিসেবে, আমরা পর্দায় নায়ক হয়ে অভিনয় করি, কিন্তু সত্যিকারের নায়কত্ব হল সমাজকে অর্থবহভাবে ফিরিয়ে দেওয়া। আমি আমার মৃতদেহ দানের মাধ্যমে অন্যদের প্রেরণা দিতে চাই যাতে তারা এই মহান কাজটি বিবেচনা করে, যা সত্যিই একটি পরিবর্তন আনতে পারে। মৃত্যুর পরও, আমি বিশ্বের কাছে অবদান রাখতে চাই।”
ডাক্তার রঞ্জু মানওয়ি কি বললেন?
ডাক্তার লায়ন রঞ্জু মানওয়ি পাঞ্চোলির এই সিদ্ধান্তকে “মহান সাহস ও সহানুভূতির কাজ” বলে শোনালেন। তিনি যোগ করেছেন, “এটি তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং মানবতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে প্রকাশ করে। এমন স্বার্থহীন কাজগুলি অন্যদেরকে চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করে যে, তারা কিভাবে পরিবর্তন আনতে পারে। আমি সত্যিই তার এই নায়কোচিত উদ্যোগের জন্য তাঁকে ভালোবাসি।”
জারিনা ওয়াহাব: আদিত্যের প্রকৃত চিত্র
একটি পৃথক সাক্ষাত্কারে, আদিত্য পাঞ্চোলির স্ত্রী জারিনা ওয়াহাব তাদের সম্পর্ক এবং তার স্বামীর চারপাশে গিগনিত বিতর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “তিনি কখনোও অপমানজনক স্বামী ছিলেন না। তিনি অসাধারণ একজন মানুষ। যদি কিছু হয়, তাহলে আমি তাকে একটু কষ্ট দেব। কিন্তু তিনি সত্যিই মিষ্টি। তার প্রাক্তন প্রেমিকারা এই অভিযোগগুলি করেছেন কারণ তারা যা চাননি পাইনি।”
অন্যান্য বিতর্ক ও জারিনার প্রতিক্রিয়া
জারিনা ওয়াহাব বলেছেন, “আমি সবসময় আদিত্যর সম্পর্ক নিয়ে সচেতন ছিলাম। আমি এসব গুজবে মোটেই বিচলিত নই।” তাঁর এই মন্তব্যগুলি আদিত্য পাঞ্চোলির চরিত্রের প্রতি অব্যাহত সমর্থন প্রকাশ করে।
বক্তব্যের প্রভাব ও সমাজে পরিবর্তন
আদিত্য পাঁচোলির পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী এক নতুন ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলিউডের একজন অনুপ্রেরণামূলক চরিত্র হিসেবে উঠে আসতে সফল হচ্ছেন, যেখানে অনেকেই প্রভাবশালী থাকতে চান। পাঞ্চোলির মতো অভিনেতারা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে অনুকরণীয় হতে পারেন, যাঁরা শুধু শিল্পের মধ্যেই নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবনেও প্রভাব ফেলতে চান।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা
বর্তমান বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারায় অভিনেতারা কেবল অভিনয় করেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তাঁদের কর্মকাণ্ড সমাজের উন্নয়নে নিবেদিত। আদিত্য পাঞ্চোলির এই উদ্যোগও তার বিপাকে প্রগাঢ় উত্তেজনা ও আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। এই ধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে, আশা করা যেতে পারে যে, অন্যান্য শিল্পীরা অনুরূপ দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হবে।
এই মানবিক উদ্যোগটি আদিত্য পাঞ্চোলির জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যেখানে তিনি মৃত্যুর পরও সমাজের কাছে তার অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে চান। আগামী ১৩ই ডিসেম্বর এই ঘোষণার প্রত্যাশায়, বলিউডের এই ভূমিকা সমর্থন দেবে কী না সেটাই মজার বিষয়।