“মানবতার কথা বললেন চিকিৎসক: শত্রুর চিকিৎসা করাকেই ধর্ম বলে মনে করছেন তাঁরা”

NewZclub

“মানবতার কথা বললেন চিকিৎসক: শত্রুর চিকিৎসা করাকেই ধর্ম বলে মনে করছেন তাঁরা”

সম্প্রতিকালে, চিকিৎসকের অমোঘ ধর্ম নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে শত্রুরও চিকিৎসা করতে হবে—এটাই মানবতার পরিচয়। তবে প্রশ্ন হলো, রাজনীতির সবখানে কি এই মানবতা বাতাসে ভাসছে? শাসকদের অতি মানুষের মুখোশ খুলে গেলে, সমস্যা ও লক্ষ্যবিহীন নীতিতে আমাদের সমাজের ‘শত্রুর’ চিকিৎসা কবে হবে? সভ্যতার এই দ্বন্দ্বে, মানবিকতার দিকে আমাদের চোখ কি সবসময় খোলা থাকে?

“মানবতার কথা বললেন চিকিৎসক: শত্রুর চিকিৎসা করাকেই ধর্ম বলে মনে করছেন তাঁরা”

  • বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কারাবন্দী হওয়া: গভীর সংকটের প্রতীক! – Read more…
  • রাজ্য সরকার আলুর দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির জটিলতায়, পুলিশ ট্রাক আটকায়—কী ঘটছে কৃষি ব্যবসায়? – Read more…
  • বহরমপুরের তরুণীর পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ: শ্বশুরবাড়িতে না যেতে চাওয়ার পর ক্ষোভে গাঁথা প্রতিশোধের গল্প – Read more…
  • শিশুদের জন্য উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা: মেয়র’র স্কুলের নতুন উদ্যোগে আদর্শ শিক্ষণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি! – Read more…
  • কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে উত্তেজনা: ভারত সরকারের কাছে নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি, সরকার উদ্বিগ্ন! – Read more…
  • মানবিকতার আহ্বান: চিকিৎসকের নৈতিকতা

    সম্প্রতি, এক চিকিৎসকের মন্তব্য দেশব্যাপী রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনা তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, “যদি কেউ অসুস্থ হয়, সে আমার শত্রু হলেও আমি তাকে সুস্থ করে তুলব। এটাই চিকিৎসকের নৈতিকতা।” এই উক্তিটি আমাদের মধ্যে মানবিকতা এবং চিকিৎসার একটি গভীর সম্পর্কের অনুভূতি জাগিয়েছে।

    রাজনৈতিক বিভেদ

    এই মন্তব্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবার প্রসঙ্গেই নয়, বরং দেশের নেতৃত্ব ও শাসন ব্যবস্থার দীর্ঘস্থায়ী সংকটকেও উন্মোচিত করেছে। যখন রাজনৈতিক নেতা একে অপরকে শত্রু হিসেবে দেখে, তখন নাগরিকদের স্বাস্থ্য প্রায়ই অবহেলিত হয়ে যায়। চিকিৎসকের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনীতি ও সমাজে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।

    মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপট

    প্রতি চিকিৎসক জানেন, অসুস্থতা হচ্ছে একটি মানবিক সংকট। কিন্তু রাজনৈতিক বিভক্তির ছাপ মোছার জন্য কী সত্যিই মানবিকতায় উত্তরণ সম্ভব? রাজনৈতিক মেরুকরণের এই অবস্থায় মানবিকতা যেন সেখানকার চাপের মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে।

    গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা

    বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাস্থ্যসেবার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদি কোনো অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা দেওয়া হয়, যদিও সে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী, তবে তা কী গণতান্ত্রিকভাবে সঠিক? এটি সমাজে বিভক্তির সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে চুপচাপে রয়েই সমস্যাগুলো সমাধান হবে না।

    মিডিয়ার ভূমিকা

    মিডিয়া সচেতন নাগরিকদের এই সংকটের প্রতি আলোকপাত করছে। চিকিৎসকের মানবিক অবস্থান বরিশাল থেকে দিল্লি পর্যন্ত আলোচনা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সমাজ এই মানবিক আচরণকে কতটা গ্রহণ করতে পারবে? রাজনৈতিক নেতাদের যখন মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা চলছে, তখন যেন চিকিৎসার নৈতিকতার আওয়াজ অদৃশ্য হয়ে না যায়।

    জন সাধারণের মানসিকতা

    বর্তমানে সাধারণ মানুষের মনিঠাল হচ্ছে। তাঁরা সেই চিকিৎসকদের প্রশংসা করছে, যারা রাজনৈতিক বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মানবিকতা এবং পেশাদারিত্বকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এটি একটি নতুন যাত্রা, যেখানে মানবিকতার ভিত্তি সমাজে দৃঢ় হচ্ছে।

    নতুন এক সম্ভাবনার প্রত্যাশা

    এই অবস্থায় রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার আশা তৈরি হয়েছে। যদি নেতারা মানবিক দৃষ্টিতে নিজেদের তুলে ধরেন, তাহলে সমাজের মুক্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে। চিকিৎসকের এই মানবিক আচরণ যেন আমাদের রাজনীতিকে নতুন দিক নির্দেশনা দেয়।

    রাজনীতি ও চিকিৎসা, উভয় ক্ষেত্র থেকে আমাদের মানবিকতার উৎকর্ষ্যে আসা প্রয়োজন। একে অপরকে হত্যার জন্য নয়, বরং জীবনের সৃষ্টির জন্য সহানুভূতির যে গৌরব, তা আমাদের পথ চলার পাথেয় হোক।

    মন্তব্য করুন