প্রসিদ্ধ ডিজাইনার-পরিবর্তিত পরিচালক মনীশ মালহোত্রা মীনা কুমারী জীবনী ছবির পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যা অনেকের জন্য একটি আকস্মিক সংবাদ। যদিও তিনি বলছেন যে এই স্বপ্ন অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়নি, তবে তার নতুন সিনেমা “সাল্লি মোহাব্বাত” মুক্তি পাওয়ার পর আবিষ্কৃত তাঁর চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা দর্শকদের মাঝে নতুন গল্প বলার এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করেছে। এই পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে শৈল্পিকতার নতুন মাত্রা আনতে পারে, যেখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বার্তা জোরালোভাবে তুলে ধরা হতে পারে।
নতুন যুগের দিকে পা বাড়াচ্ছে বলিউড: মানিশ মালহোত্রার স্বপ্নের পথচলা
প্রসিদ্ধ ডিজাইনার ও চলচ্চিত্র পরিচালক মানিশ মালহোত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেছেন তাকে অত্যন্ত প্রতীক্ষিত মীনা কুমারী বায়োপিক থেকে, যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল কৃতি স্যাননের। এই খবরটি অনুরাগীদের এবং শিল্পের জন্য একটি বিস্ময়কর খবর হিসাবে এসেছে, কারণ এই প্রকল্পটির প্রতি আগ্রহ ছিল ব্যাপক।
ফ্যাশনের জগৎ থেকে সিনেমার জগতে মানিশের অভিযাত্রা
বছরের পর বছর ধরে, মানিশ মালহোত্রা গ্ল্যামার এবং কুতুরের একজন মাস্টার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে, চলচ্চিত্র নির্মাণে তার পদক্ষেপ—সালির মোহাব্বত, যা हाल ही में ভারতের ৫৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) প্রিমিয়ার হয়েছে—নিখুঁত গল্প বলার প্রতি তার আগ্রহকে তুলে ধরেছে।
নতুন ভাবনার সূত্রপাত
এই পরিবর্তন নিয়ে মালহোত্রা বলেছেন, “স্টেজ ৫ সঙ্গে আমার স্বপ্ন ছিল একটি ভিন্ন কাহিনী শুরু করা যা আমার জন্য প্রত্যাশিত নয়। মানুষ চেয়েছিল আমার সিনেমাগুলোতে করিনা [কাপূর খান] অথবা তরুণীদের অভিনয় দেখতে, প্রচুর গ্ল্যামারের সঙ্গে। কিন্তু এটা আমার ব্র্যান্ডের সম্প্রসারণ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গল্প।”
মীনা কুমারী বায়োপিকের শেষ স্বপ্ন
মীনা কুমারী বায়োপিকের অবস্থা জানতে চাইলে মালহোত্রা নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আর এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি আর বায়োপিকটি করছি না। আমি অন্য একটি পরিচালনা করব। পরিচালনার কাজ এখনও একটি পূর্ণ না হওয়া স্বপ্ন।”
চলচ্চিত্র নির্মাণ: মানিশের জন্য স্বতঃসিদ্ধ
যদিও ডিজাইনারটি বায়োপিক থেকে সরে এসেছেন, তবে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার ভালোবাসা অব্যাহত রয়েছে। “সব ফ্যাশন ডিজাইনারদের চলচ্চিত্রের অনুভূতি থাকে না, কিন্তু কিছু ধরনের থাকে। আমার ক্ষেত্রে, এটা সংগঠিত ছিল কারণ আমি ছেলেবেলা থেকে সিনেমার প্রেমে পড়েছিলাম,” তিনি বলেন। মালহোত্রার ক্লাসিক চলচ্চিত্র যেমন মুঘল-এ-আজম এবং রাজ কাপূর ও গুরুদত্তের কাজগুলো তার সৃজনশীল প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করেছে।
দেখার অপেক্ষার মধ্যে অন্যান্য প্রকল্প
মীনা কুমারী প্রকল্প থেকে সরেও, মালহোত্রার অন্যান্য চলচ্চিত্র রয়েছে, যেমন বান তিক্কি এবং উল জলুল ইশক, যা তার নির্মাণের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এছাড়াও সম্প্রতি কৃতি স্যানে অন্য একটি চলচ্চিত্রের প্রস্তুতি শুরু করেছেন যা নির্মাতা আনার্দ লি রাই এবং দানুষের সাথে সংযুক্ত রয়েছে, “তেরে ইশক মেইন।” চলচ্চিত্র শিল্পের এই পরিবর্তনশীল মৌলিকতায়, মানিশ মালহোত্রার যাত্রা নতুন এক প্রেরণা জোগাচ্ছে।