উন্নত সমাজের পথ চলায়, নীতি আর নিয়মের অবিচল কঠোরতা কিভাবে মানবিক আবেগকে রুদ্ধ করে, তার একটি দৃষ্টান্ত দেখা গেল পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে। ৫৫ বয়সী স্বামীর অযোগ্যতা সত্ত্বেও, বঙ্গসন্তানের স্বপ্নে বাঁধা পড়েছে যুক্তির সীমানা। এমনকি চর্চিত গণতন্ত্রও ক্রমশ বিস্মৃত; কৃপণত্বের আড়ালে বিকৃত মানবিকতা ফুটে উঠছে।
কলকাতার পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ঘটনা: বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
ডিসেম্বর ২০২৩ এ একটি দম্পতি পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে সন্তান পরিকল্পনার জন্য যান, কিন্তু সেখানে তারা একটি অস্বাভাবিক বাধার মুখোমুখি হন। স্বামীর বয়স ক্লিনিকের নিয়মাবলীর সাথে অমিল ছিল, যা ২১ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। স্বামী যদি এই সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে বিষয়টি সমস্যা সৃষ্টি করে।
বয়সের সীমাবদ্ধতা: সামাজিক ভাবনা ও সংকট
সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সমাজে বয়স ভিত্তিক বিভাজন কেন বিদ্যমান? এটি কি সামাজিক নির্মিত একটি অন্ধ বিশ্বাস, নাকি একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা? আসল প্রশ্ন হল: সময়ের সাথে সাথে সমাজের এই নিয়মাবলী পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে কি না।
রাজনীতির প্রভাব: সাধারণ মানুষের জীবন
রাজনীতির প্রেক্ষিতে, এই ঘটনা একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে যে, নিয়মের ফাঁদে সাধারণ মানুষ যেন আশাহীনতায় ভুগছে। রাজনীতিবিদদের উচিত সাধারণ people’s বাস্তবতা বুঝতে চেষ্টা করা। যখন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ জীবনের চাহিদার সাথে যুদ্ধ করছে, তখন বয়সের এই বিধি তাদের জন্য কোন অর্থই রাখে না।
মিডিয়ার দায়বদ্ধতা
মিডিয়া সবসময় ঘটনাগুলোর ওপর আলোকপাত করে, কিন্তু সেগুলোকে কীভাবে উপস্থাপন করছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্ব হলো সমাজের পরিবর্তনের সাথে জনগণের মতামত বিকাশে সহায়তা করা। কেন একটি নির্দিষ্ট বয়সের সীমার কারণে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে? একটি দম্পতির সন্তানের পরিকল্পনায় বয়সের এই বিতর্ক কি আসলেই যুক্তিযুক্ত?
নতুন যুগের চাহিদা ও পরিবর্তন
সমাজ ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং মিডিয়া এই পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটাতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়, “মানুষের স্বপ্ন শঙ্কিত পথে অলস করে বসে থাকে,” যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। আমাদের এখনই আমাদের ভাবনাকে প্রশ্ন করতে হবে, যেন আগামী দিনগুলোতে সঠিক দিকনির্দেশনা তৈরি হয়। রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রতিটি দম্পতির অধিকার ও আত্মবিশ্বাস রক্ষা করা প্রয়োজন।