বিশ্বভারতীতে শ্রীবিদ্যুত চক্রবর্তী যুগে ফের বিক্ষোভ, বিজেপি-আরএসএসের আলোচনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে!

NewZclub

বিশ্বভারতীতে শ্রীবিদ্যুত চক্রবর্তী যুগে ফের বিক্ষোভ, বিজেপি-আরএসএসের আলোচনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে!

বিশ্বভারতীতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অধীনে গর্জনসংক্রান্ত আন্দোলন যেন এক অদ্ভুত চিত্রায়ণ, যেখানে বিজেপি ও আরএসএসের নেতাদের উপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হয়ে উঠেছিল কালো ছায়ার মতো। জাদুকরি নেতৃত্বের অবসানে সেখানকার আন্দোলনের তীব্রতা কমলেও, রাজনীতির মঞ্চে সামাজিক মননশীলতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। কেমন যেন শূন্যতা, যেন কথা বলার জন্য জীবনের কাদায় ধাক্কা খাচ্ছে প্রতিবাদ।

বিশ্বভারতীতে শ্রীবিদ্যুত চক্রবর্তী যুগে ফের বিক্ষোভ, বিজেপি-আরএসএসের আলোচনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে!

  • “মহিলা মেট্রোতে ভাষা বিতর্ক: ‘বাংলা বলতে পারেন, হিন্দি নয়’ মন্তব্যের পর উঠেছে রাজনৈতিক আলোচনার ঝড়!” – Read more…
  • “গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠনের লাইভ সম্প্রচারে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা: নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জনমত পরিবর্তন?” – Read more…
  • ছোটদের মাথার সুরক্ষায় হেলমেট জরুরি, কলকাতা পুলিশের প্রচারণা সত্ত্বেও অবহেলার চিত্র স্পষ্ট! – Read more…
  • শুভেন্দুবাবুর আক্রমণ: স্বচ্ছতার অভিযোগে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে ইলেক্টোরাল বন্ড তদন্তের দাবি! – Read more…
  • সুন্দরবনে ট্র্যাপ ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে সরকার বন সংরক্ষণে নতুন দিশা দেখাচ্ছে, জনমনে জনরোষ? – Read more…
  • বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের নতুন দিগন্ত

    সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আবার উঠে এসেছে। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময় বিজেপি এবং আরএসএসের নেতাদের নিয়ে বিতর্কিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হলে, studentদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যা আজও অনেকের মনে দাগ কেটে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বভারতীতে পরিস্থিতি কেমন?

    নতুন পরিস্থিতিতে পুরনো চ্যালেঞ্জ

    বিদ্যুত চক্রবর্তীর পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভের আগুন নিভে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে কি কারণে আন্দোলন এখন থেমে গেছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান প্রশাসনের নীরবতা ও কার্যকরী শাসনের কৌশল এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তাঁরা বলেন, সরকারি নীতির প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি সুসংগঠিত আন্দোলনের প্রয়োজন।

    শিক্ষার শীর্ষে রাজনীতির প্রভাব

    বর্তমান সরকারের গতিশীলতা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের অভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনে নামেন, তখন ছাত্ররাজনীতির সংকট আরও প্রকট হয়ে ওঠে। বিশ্বভারতীর শ্রদ্ধেয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কি ‘শিক্ষার জগত’ এইভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে?

    সরকারের পদক্ষেপ ও জনমতের প্রতিফলন

    সরকারি নীতির প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব পরিবর্তিত হচ্ছে। যদিও আন্দোলনের আবহ আগের মতো নেই, তবে কি রাজনীতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অবৈধ আঁতাত চলছে? সমালোচকরা বলছেন, প্রশাসন ছাত্রদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।

    মিডিয়ায় সংকট ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা

    মিডিয়া এই সমস্ত ঘটনার যথাযথ প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রত্যেকটি আন্দোলন যেন পিছিয়ে পড়ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাংবাদিকতার নৈতিকতা এখন কি একপেশে হতে চলছে? কিছু মাধ্যম রাজনীতির স্বচ্ছতার প্রতি দায়বদ্ধতা হারাচ্ছে, যার ফলে জনমত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে।

    পরিবর্তিত সমাজ: পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

    সমাজের কিছু অংশ বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন আশা করে, অন্যদিকে কিছু অংশ পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে বাঁচতে চাইছে। একদিকে ছাত্রদের মধ্যে উদ্যোমের অভাব এবং অন্যদিকে শাসকশ্রেণীর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় এসেছে।

    সারসংক্ষেপ: একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয়, বরং সনাতন সংস্কৃতি ও মুক্ত চিন্তার চর্চাও হতে হবে। বর্তমানে আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে রয়েছি, যা রাজনীতি ও শিক্ষার সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে। প্রয়োজন হলে আন্দোলন হোক, কিন্তু সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

    মন্তব্য করুন