কলকাতা পুলিশের সচেতনতা অভিযান সত্ত্বেও, ছোটদের মাথায় হেলমেটের অভাব যেন সরকারের প্রতি স্ত্ৰীবদ্ধ নিন্দা। সমাজের সুরক্ষা বিষয়ক নীতি কি শুধু গল্পের পৃষ্ঠায়? কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা নগরে হারানো সারল্যের প্রতীক, যেখানে নিরাপত্তা আর সচেতনতা একে অপরের থেকে নির্বাসিত। এক সত্যে, এ যেন শাসক এবং জনগণের সম্পর্কের অলীক রূপে নতুন শৈলী।
কলকাতা পুলিশের সচেতনতামূলক উদ্যোগ: শিশুদের জন্য হেলমেটের অভাব
রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও উন্নতির শহর কলকাতায় একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি চলছে। শহরের রাস্তা ঘিরে ছোট ছোট শিশুরা স্কুটার বা মোটরবাইক চালানোর সময় তাদের মাথায় হেলমেট ব্যবহার করছে না। যেন তারা এক হাতে স্বাধীনতা উপভোগ করছে এবং অন্য হাতে নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করছে। এ যেন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রতিভূ, যেখানে শিশুরা অজ্ঞাতসারে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করছে।
জাগরণের উদ্যোগ
কলকাতা পুলিশ শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তবে, দেখে মনে হচ্ছে যে, জনগণ উদ্যোগগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমাদের কি এতটাই অস্বস্তি হয়েছে যে সন্তানের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা করতে পারছি না? একটি হেলমেট ফেলে রাখা বিপদের একটি বলয়, আর আমরা সেই বিপদের দিকে নজর দিচ্ছি না। এখানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা কি? তারা কি শুধু কথা বলতেই ব্যস্ত?
নেতৃত্বের দায়ভার
নেতাদের কি নিজেদের দায়িত্বের অনুভূতি নেই? যদি আমরা সন্তানদের নিরাপত্তাকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করি, তাহলে নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারব। রাজনৈতিক নেতৃত্বে মানবিকতা ও সহানুভূতির দরকার। আমাদের আদর্শ কি বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে, নাকি শুধু কথায় প্রাধান্য পাচ্ছে?
সামাজিক মনোভাবের পরিবর্তন
হেলমেট ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কার্যত কিছু হচ্ছেনা। আমরা কিভাবে সমাজে সচেতনতা তৈরি করবো? এই প্রশ্নটি আজ অবধি অমীমাংসিত। সাংবাদিকরা যখন সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করেন, তখন তারা ভুলে যাচ্ছেন যে, জনসাধারণকেও সক্রিয় হতে হবে। এটি শুধুমাত্র সরকারের দায়িত্ব নয়; আমাদের সকলের দায়িত্ব।
মিডিয়ার ভূমিকা
মিডিয়া কি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে? নাকি তারা আমাদের দুর্ঘটনাগুলোর দিকে আরও বেশি মনোযোগী হবে? পরিবর্তন আসার জন্য মিডিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। বক্তা ও শ্রোতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন জরুরি। তাহলে হয়তো নিরাপত্তার বিষয়টিও সামাজিক আলোচনায় আসবে।
উপসংহার: জাগরণের সময় এসেছে
এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব। নিরাপত্তা শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়; পরিবর্তনকে আমাদের সমাজে স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি একটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ হলেও, এটি বৃহৎ পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। আসুন, আমরা উদ্যোগী হই এবং আমাদের শিশুদের মাথায় হেলমেট পরাতে উৎসাহিত করে তাদের ভবিষ্যতের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিই।