বিগ বসের সাবেক প্রতিযোগী এবং অভিনেতা আকজ খান রাজনীতিতে প্রবেশ করে মহারাষ্ট্রের ভারসোভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে অংশ নেন, কিন্তু মাত্র ১৩১ ভোট পেয়ে কার্যত ভরাডুবি হলেন। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫.৬ মিলিয়ন ফলোয়ার থাকলেও ভোটে তা কোনোভাবে প্রভাব ফেলে নি। এই নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহায়ূতি জোটের জোরাল অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে, যা বলছে যে, রাজনীতির মাঠেও এখন কেবল তারকাদের জনপ্রিয়তা কাজ করে না, বরং কার্যকর নীতি ও সমর্থনও প্রয়োজন।
প্রকাশ্যে এলো অজয়ের রাজনৈতিক পরাজয়: বলিউডের নায্যতার গল্প
প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী এবং অভিনেতা আজাজ খান রাজনীতিতে প্রবেশ করে মহারাষ্ট্রের ভারসোভা নির্বাচনী আসনে অজীবাণু সমাজ পার্টি (কানশি রাম) এর ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনী কমিশনের সর্বশেষ মাপকাঠি অনুযায়ী, তিনি কেবল ১৩১টি ভোট পেয়েছেন।
৫.৬ মিলিয়নেরও বেশি ইনস্টাগ্রাম অনুসারী থাকার সত্ত্বেও, আজাজ খানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা ভোটে রূপান্তরিত হয়নি। ভারসোভা আসনে, ৫৮,০৪৭ ভোট পেয়ে হারুন খান শীর্ষে রয়েছেন, যেখানে NOTA (নিওন অব দ্য অ্যাবভ) বিকল্প ১,০২২ ভোট পেয়েছে—আজাজ খানের মোট ১৩১ ভোটের প্রায় ছয় গুণ।
নির্বাচন এবং ভোটারের প্রতিক্রিয়া
ভারসোভায় ভোট প্রদানের হার ছিল ৪২.২%। ঐতিহ্যগতভাবে কংগ্রেসী গড়ে, ভারসোভা আসনে এই নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মহারাষ্ট্রে ৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে, যা মহায়ুতী জোট (বিজেপি-শিব সেনা-এনসিপি) এবং মহা বিকাশ আগাড়ি (এনসিপি-এসপি-শিব সেনা (ইউবিটি)-কংগ্রেস) এর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার প্রতিফলন।
শনিবারের প্রাথমিক প্রবণতায় বিজেপি-অধ্যক্ষ মহায়ুতী জোট একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব দেখায়, যা মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় একটি নিশ্চিত সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছানোর পথে রয়েছে। ২৮৮-সদস্য বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায়, মহায়ুতী জোট ২৩১ আসনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, মহা বিকাশ আগাড়ির (এমভিএ) মাত্র ৫১টি আসন রয়েছে। বিজেপি ১৪৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, ১৩০টিতে জিতেছে বা নেতৃত্বে রয়েছে, যখন শিব সেনা ও এনসিপি যথাক্রমে ৫৬ ও ৩৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বিগ বসের চিত্রে শ্রম ও বিতর্ক
৪.২ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি প্রমাণ করে কেবল একটি রাজনৈতিক পরাজয় নয়, বরং চলচ্চিত্র শিল্পের শক্তি এবং সমাজের চোখে তার প্রভাবকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে। আগামী দিনে আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভাবতে হবে, কিভাবে তারা সমাজের আয়নায় নিজেদের পরিচয় গড়ে তুলবেন। প্রশাসন এবং সেলিব্রিটিদের চলমান সম্পর্ক এবং রাজনীতি শিল্পের বৃত্তে কিভাবে প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে আলোচনা না করলেও নয়।
নির্বাচনের ফলাফল এবং আজাজের রাজনৈতিক যাত্রা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাম্প্রতিক সময়ে ভোটারের বোঝাপড়া এবং বাজারে অভিনেতাদের পারফরমেন্সের মানসিকতা পরিবর্তিত হচ্ছে। এটাই কি আমরা বলিউডের ভবিষ্যৎ? আমাদের কি আসল গল্পগুলো জানতে হবে, না হলে আশা হারানো? শূন্যতা কি কেবল অভিনেতা বা রাজনৈতিক নেতা, দুই ক্ষেত্রেই একই?
ফলস্বরূপ, বিনোদন জগতের বাস্তবতা
অন্যদিকে আজাজ খান বর্তমানে 30 লাখ টাকার মাদক মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন, যা বলিউডের শীর্ষস্থানীয় আরও কিছু মাদক সংক্রান্ত বিতর্কের অংশ। সম্প্রতি, তাকে ফের তলব করা হয়েছে, যা তার ক্যারিয়ারের গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া জরুরি, যেখানে রাজনৈতিক কৌশল ফলাফলের চেয়ে বেশি, জনগণের বাস্তবতা হচ্ছে