আজয় দেবগন ও অক্ষয় কুমারের বহু পুরনো বন্ধুত্ব এবার নতুন রূপ পেতে চলেছে। আসন্ন ছবিতে দেবগন নিজে পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন এবং অক্ষয় প্রধান চরিত্রে। সেই সাথে আকৃতির মধ্যে হাস্যরসে নিমগ্ন অক্ষয় ‘হেরা ফেরি ৩’ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী বছর, যা দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কোথায় আঁকড়ে ধরে রেখেছে বলিউডের গল্প বলার ধারা?
বজ্র সমর ইণ্ডাস্ট্রির স্যাঁতসেঁতে: অজয় এবং অক্ষয়ের নতুন যাত্রা
বলিউডের দুই সুপারস্টার অজয় দেবগণ এবং অক্ষয় কুমার আবারও একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন। ‘সুহাগ’, ‘খাকী’, এবং ‘সূর্যবংশী’-এর মতো স্মরণীয় চলচ্চিত্রে স্ক্রীন শেয়ার করার পর এবার অজয় দেবগণ পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। এই ঘোষণা সম্প্রতি ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২৪’-এর সময় দেওয়া হয়েছিল, যেখানে অজয় তার পরবর্তী পরিচালনার প্রকল্পের কথা জানান।
অজয় দেবগণের আকর্ষক ঘোষণা
অজয় বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি যেখানে আমি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছি এবং তিনি এতে অভিনয় করছেন।” যদিও অজয় গোপন রেখেছেন চলচ্চিত্রের ধরণ বা বিস্তারিত, তিনি যোগ করেন, “এখনো কথা বলার জন্য একটু সময় বাকি আছে।” অক্ষয়, যিনি তার দ্রুত হাস্যরসের জন্য পরিচিত, মজার ছলে স্ক্রিপ্ট নিজেই পাঠানোর প্রস্তাব দেন।
অক্ষয় কুমারের ‘হেরা ফেরী ৩’ এর খবর
একই ইভেন্টে অক্ষয় কুমার ‘হেরা ফেরী ৩’ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। তিনি মজার ছলে বলেন, যে প্রত্যাশিত সিক্যুয়েলটি তখনই শুরু হবে যখন প্রযোজক ফিরোজ নাডিয়াডওয়ালা তার “হেরা ফেরী” সম্পন্ন করবেন। কিন্তু গম্ভীর গলাতে তিনি নিশ্চিত করেন যে ছবিটির কাজ আগামী বছরের শুরু হবে। বর্তমানে অক্ষয় ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’, এর নতুন পর্বের শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
অভিনেতা এবং পরিচালকের দ্বন্দ্ব
অজয় দেবগণ, যিনি সম্প্রতি ‘সিংহাম এগেইন’-এ বাজিরাও সিংহম হিসাবে শক্তিশালী অভিনয় করেছেন, এখন অভিনেতা এবং পরিচালক উভয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। তার আসন্ন প্রকল্পগুলির মধ্যে ‘রেইড ২’, ‘দে দে প্রেম দে ২’, এবং ‘সোন অফ সরদার ২’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অপরদিকে, অক্ষয় কুমারের হাতে একাধিক উচ্চ-প্রফাইলের সিনেমা রয়েছে, যেমন ‘হাউজফুল ৫’, ‘জলি এলএলবি ৩’, ‘স্কাই ফোর্স’, এবং ‘ভূত বাংলা’।
সময়ের স্রোতে বদল: সিনেমা এবং সমাজের সম সম্পর্ক
এই দুই তারকার এই সহযোগিতা শুধুমাত্র তাদের ক্যারিয়ারকেই নতুন মাত্রা দেবে না, বরং Bollywood এর সামগ্রিক দিশাকেও নির্দেশ করবে। নতুন পরিচালকের ঘটনা, পুরনো রসিকতা, এবং সৃষ্টিশীলতার এই মেলবন্ধন আলোচনার টেবিলে নতুন প্রসঙ্গ তৈরি করবে।
যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আকর্ষণীয় শুভেচ্ছাবার্তা অক্ষয় কুমারের প্রতি ভাইরাল হয়েছে, তেমনই এই নতুন প্রকল্পেও আকর্ষণের সমারোহ বাড়িয়ে দেবে। এটি স্পষ্ট যে, বলিউডের অবস্থা নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও নতুন ধারার গল্প এবং চরিত্রগুলো সূচনা করছে এক নতুন যুগের, যা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
