“আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০ সিসিটিভি: ৩ লক্ষ ৫২ হাজারে স্বচ্ছতার আড়ালে অস্বচ্ছতার মিছিল!”

NewZclub

“আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০ সিসিটিভি: ৩ লক্ষ ৫২ হাজারে স্বচ্ছতার আড়ালে অস্বচ্ছতার মিছিল!”

আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের খবরটি শুধু আর্থিক অপচয়ের গল্প নয়, বরং শাসনের অদৃশ্য হাতের পরিচয়। তিন লক্ষ ৫২ হাজার টাকা প্রতি ক্যামেরায়, আমরা কি নিরাপত্তা পাচ্ছি, নাকি রাজনৈতিক দৃষ্টিক্ষেপ? প্রশ্ন জাগে, ক্যামেরার পেছনে কি আমাদের বিশ্বাসের অভাব নাকি নেতৃত্বের অযোগ্যতা?

“আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০ সিসিটিভি: ৩ লক্ষ ৫২ হাজারে স্বচ্ছতার আড়ালে অস্বচ্ছতার মিছিল!”

  • দূষণের বাতাসে উৎসবের আনন্দ, শাসকদল কি ভুলে গেল জনগণের সুস্থতা? – Read more…
  • মমতার উত্তরবঙ্গ সফরে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি; উপনির্বাচনে শাসকের আবেদন: জনগণের আসল মুখচ্ছবি কী? – Read more…
  • শিক্ষার্থীদের ট্যাবের প্রতিশ্রুতি, সরকারী প্রতারণা নিয়ে ক্ষোভে ছাত্র সংগঠন: মেদিনীপুরের জনতায় অস্থিরতা! – Read more…
  • নাবালিকার বিরুদ্ধে দাদুর ধর্ষণের অভিযোগ: সমাজের গতি ও নৈতিকতার সংকটের চিত্র ফুটে উঠল! – Read more…
  • “প্রধান শিক্ষকদের ওপর চাপ: শিক্ষার টাকা বিলম্বে প্রশাসনিক গাফিলতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও সমাজের অসন্তোষের প্রেক্ষাপট” – Read more…
  • আরামবাগের সিসিটিভি বিতর্ক: আমাদের কি দেখা উচিত?

    আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে সরকার ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই দাম কি সত্যিই যৌক্তিক? প্রতিটি ক্যামেরার জন্য ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ের ভিত্তি কি সঠিক? এই ব্যয়বহুল প্রকল্পের পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী?

    শাসন ব্যবস্থার প্রতিফলন

    এটি দেশের রাজনীতির একটি স্পষ্ট ছবি। যেখানে সুশাসনের অভাব, সেখানে ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে জনগণের চিন্তাভাবনার পথকে রুদ্ধ করা হচ্ছে। সরকার বলছে, এই ক্যামেরাগুলি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরার নজরদারিতে কখনো কি প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে?

    জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া

    জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। তাঁরা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন যে, সাধারণ মানুষের উন্নয়নে ব্যয় হওয়ার টাকা বর্তমানে ক্যামেরার প্রকল্পে বরাদ্দ হচ্ছে। জনগণের মনে পড়ছে, এর মাধ্যমে কি আমাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে, নাকি কিছু скрытых উদ্দেশ্য রয়েছে?

    রাজনীতির নাটক

    রাজনীতি মানেই বিভিন্ন ধরনের নাটক। রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের বক্তব্যে সেই পুরাতন মুখোশ ব্যবহার করে আসছেন। জনসাধারণের মনোজগতকেও এ বিষয় নিয়ে চিন্তাচেতনার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। তবে, কি সত্যি আমরা সেই সিসিটিভি ক্যামেরার বরাবর নিরাপত্তার অনুভূতি অর্জন করতে পারছি?

    মিডিয়ার ভূমিকা

    মিডিয়া হল আমাদের সমাজের নিরীক্ষক, যে সমাজের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলি তুলে ধরে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে, মিডিয়া কি এই বিষয়টির যথাযথ আলোচনায় সক্ষম? মিডিয়া কি রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থনে নীরব থাকবে, নাকি সমাজের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে? এই কাহিনি আমাদের বাস্তবতার প্রতিফলন।

    নিস্কর্ষ: সচেতন নাগরিকের ভূমিকায়

    সর্বোপরি, আমাদের নাগরিকদের দায়িত্ব হল সচেতনভাবে চিন্তা করা। সীমিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে, আমাদের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে সিসিটিভি ক্যামেরা নয়, বরং সমাজের উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া উচিত। একটি শক্তিশালী দেশের জন্য আমাদের একত্রিত হতে হবে।

    মুখ্য বিষয় হল, আমাদের প্রশ্নগুলি উত্থাপন করা জরুরি। সমাজের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আমাদের অন্তরের গভীরে পরিবর্তনের সূচনা করতে হবে এবং আমাদের কণ্ঠস্বর যাতে কেউ স্তদ্ধ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

    মন্তব্য করুন