বলিউডে সাম্প্রতিক বিতর্কে, সালমান খানের প্রোডাকশন হাউসের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-কে নিয়ে। যদিও খানের প্রতিনিধি স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন যে, তাদের সঙ্গে এই শোর কোনও সম্পর্ক নেই, তবুও মিডিয়া বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা চলচ্চিত্র জগতের জটিলতা ও সামাজিক প্রবণতাকে তুলে ধরে। আধুনিক কাহিনীর ধরন এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়া বোঝা জরুরি, কারণ শিল্পের এই স্তর নতুন সময়ের চাহিদা অনুধাবন করতে পারছে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।
বলিউডের মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের প্রতিচ্ছবি: বিতর্কের নায়ক-নায়িকাদের খোঁজে
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে, ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ নাটকীয়ভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যকে অ্যান্টা বানিয়েছে এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। ডঃ মন্ডালের পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয় এবং আইনজীবী নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ রায় এটি উপস্থাপন করেছেন।
এদিকে, কিছু গুজব উড়তে শুরু করেছে সালমান খানের প্রোডাকশন হাউজ সম্পর্কে, যা নোটিশ গ্রহণ করেছে বলে বলা হয়েছে। তবে, সালমান খানের কোম্পানির প্রতিনিধিরা পরিষ্কার ঘোষণা করেছে যে, তারা ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যতটুকু মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয়েছে।
সালমান খানের স্পষ্ট বক্তব্য
সালমান খানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, “আমাদের Netflix-এ সম্প্রচারিত ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’এর সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। কিছু মিডিয়া জানাচ্ছে যে সালমান খান বা SKTV নোটিশ গ্রহণ করেছে, যা সম্পূর্ণরূপে ভুল।”
একটি শিল্পীর দৃষ্টি
প্রতিনিধির বক্তব্য অনুযায়ী, সালমান খানের প্রোডাকশন হাউজ এখন আর এই শোটির সাথে যুক্ত নয় এবং আইনগত নোটিশের ফলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু প্রগতিশীলতার তুলনায় চলচ্চিত্র শিল্পের আরও গভীর দিকগুলি কী? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতীকী ভাবনা কি এ চলচ্চিত্রের পটভূমিতে আবারও প্রতিফলিত হবে?
গুজব এবং সত্যের খেলায়
‘কারণ অর্জুন’ ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে Hrithik Roshan-এর কণ্ঠ দিয়ে সালমান খান এবং শাহরুখ খানের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে একটি ভয়েস-ওভারের অংশ রয়েছে। তবে এই সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র শিল্পের এই উর্ধ্বগতির দৃষ্টিকোণ মোটেই পরিষ্কার নয়। এতে কি আমাদের সমসাময়িক সমাজের অনুভূতিকে বাধাগ্রস্ত করছে?
সামাজিক প্রতিফলন
কি করতে চায় বলিউড? তারা কি নিজেদের শিল্পের ঐতিহ্যকে প্রশংসায় ভরে রাখতে চায়? নাকি তারা মাথা নত করে সময়ের সঙ্গে চলতে প্রস্তুত? এই বিতর্ক এবং নাটকীয়তার মাঝে আমাদের বোঝার পরিসর কি প্রসারিত হবে? চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু কি সত্যিই সমাজের প্রতিচ্ছবি, নাকি এখানে রয়েছে শুধু বিনোদন?
পুনঃবিবেচনার জন্য, বলিউডের এই পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক, যেখানে একটি জনপ্রিয় শো সাংস্কৃতিক আইকনকে হেনস্তা করার অভিযোগ করছে, তা সত্যিই সৃষ্টিশীল শিল্পের অন্ধকার দিক। ভাবনাগুলি যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজের মতোই গভীর এবং আমাদের চিন্তার কাতারে এনে দাঁড় করায়।