মালাইকা আরোরা তাঁর পিতা মারা যাওয়ার পরও কাজের মধ্যেই ফিরে এসেছেন। শোক কাটিয়ে তিনি নতুন উদ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন, যেখানে তিনি নাট্য বিচারক এবং ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারী হিসেবে উপস্থিত হবেন। ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ সামলে এগিয়ে চলার এই মানসিকতা, সমাজের জন্য এক শক্তিশালী বার্তা, যা দেখায় যে শিল্পীদের জীবনে কষ্ট হোক বা আনন্দ, কাজের মাধ্যমে তারা সব কিছুই অতিক্রম করতে পারে।
মালাইকা আরোরা: দুঃখের ঝড় পেরিয়ে কাজের মাঠে ফিরে আসা
বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা সম্প্রতি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির মধ্যেও তার পেশাগত দায়িত্বগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে জীবনকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন। প্রকৃতিতে, তিনি তার বাবার মৃত্যুর পর কিছুদিন পরিবারের কাছে থেকেছেন এবং তার ৪৯তম জন্মদিনটিও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করেছেন। তবে এখন তিনি এক নতুন উদ্যম নিয়ে কাজে ফিরে এসেছেন।
বর্তমানে মালাইকা একাধিক প্রকল্পের মূলে রয়েছেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য অবিরাম শুটিং এবং ভ্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তার বৈচিত্র্যময় প্রোফাইলটি স্পোর্টসওয়্যার, স্বাস্থ্যকর খাবার, ফ্যাশন, বিলাসী ব্যাগ, সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্যসেবা, রিয়েল এস্টেট, মিনারেল ওয়াটার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করছে। এছাড়াও, তিনি একটি ডান্স রিয়েলিটি শোতে বিচারকের ভূমিকায় এবং একজন ব্যবসায়িক বিনিয়োগকারী হিসেবে একটি স্টার্টআপ-ফোকাসড সিরিজে অংশগ্রহণ করবেন।
ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই
মালাইকা আরোরা তার জীবনে বিভিন্ন ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, যেমন উচ্চ-প্রোফাইলের ডিভোর্স, অনলাইন ট্রলিং, সম্পর্কের বিচ্ছেদ এবং একটি পারিবারিক ক্ষতি। তবে এই সব বাধা সত্ত্বেও, তিনি এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন এবং নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে দেননি।
মালাইকায় মুখরিত নতুন অভিযাত্রা
মালাইকা তার যাত্রাকে নিয়ে বলেছেন, “আমাদের সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে… এটাই ছিল আমার বাবার ইচ্ছা। আমি আক্রান্ত হওয়ার সময়টুকু নিয়ে গর্বিত। এটি সহজ ছিল না, তবে আমাদের নিজেদেরকে সুস্থ হতে সময় দেওয়া জরুরি। কাজে ফিরে আসা আমার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আমার মা ও পরিবারকে যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যে ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে কাজ করছি তা নিয়ে আমি উত্তেজিত। এবং আমি একটি বিশেষ কিছু নিয়ে কাজ করছি যা শীঘ্রই ঘোষণা করব—এটি আমার বাবার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
বলিউডের চলমান পরিবর্তন
মালাইকার এই অবস্থা বলিউডের dynamics, অভিনেতাদের পারফরম্যান্স এবং সিনেমার সমাজে প্রভাবকে নতুন করে মননশীলতা দেয়। তার মতো অভিনেত্রীরা যখন নিজেদের জীবনসংগ্রামের কথা বলেন, তখন তা সবার সামনে নিয়ে আসা হয়। এটি প্রমাণ করে যে আজকের দর্শকরা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং মানসিক এবং সমাজিক যোগাযোগের জন্য সিনেমা দেখেন।
মালাইকা সমর্থনযোগ্য এবং পরিশ্রমী। তার উপাখ্যান বলিউড ও সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন, যেখানে যেকোনো অবস্থার মধ্যেও অদম্য সূর্যের মতো এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের কেউ যদি পরিস্থিতির অবনতির সম্মুখীন হয়, তবে সেটা তাদের মূল্যায়ন কিংবা জীবনের গন্তব্য নির্ধারণ করতে করতে পারে না।