অনুপমা সিরিয়ালের প্রায়শই আলোচিত নায়িকা রুপালি গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে তাঁর সৎকন্যা ঈশাVerma একটি বিতর্কিত অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, যা ইন্ডাস্ট্রিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঈশার দাবি, রুপালি ও তাঁর স্বামী ভবিষ্যতে তাঁর মায়ের প্রতি শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছেন। উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর রুপালির পক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে, যা চলচ্চিত্রের জগতের অন্ধকার দিকগুলিকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। এ ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, বরং সোসাইটির প্রতি চলচ্চিত্রের প্রভাবকেও নির্দেশ করে, যেখানে সেলিব্রিটিদের জীবন ও তাঁদের কর্মকাণ্ড জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
একা অভিনেত্রী, একটি নাটক: রূপালী গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বন্যা!
ভারতীয় ধারাবাহিক ‘অনুপমা’ এর জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপালী গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযোগের ঢল এসেছে। শো-এর সহকর্মীরা এবং বিশেষ করে তার সৎকন্যা ইশা বর্মা সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। ইশা দাবি করেছেন যে রূপালী এবং তার স্বামী অশ্বিন ক. বর্মা, ইশার মায়ের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছিলেন। সেইসাথে, ইশা দাবি করেছেন যে রূপালী অশ্বিনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন যখন অশ্বিন তার মায়ের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে, রূপালী ইশার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলাও দায়ের করেছেন।
আইনগত পদক্ষেপ: রূপালী গাঙ্গুলীর প্রতিরোধ
রূপালী গাঙ্গুলীর আইনজীবী সানা রৈয়েস খান বলেন, “আমরা তার (ইশা) কাছে মানহানির নোটিস পাঠিয়েছি। রূপালী তাঁর খ্যাতি রক্ষায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, কারণ ইশার মিথ্যা ও অপদস্থ মন্তব্যগুলি রূপালীর ব্যক্তিগত ও পেশাদার সত্ত্বাকে ক্ষতি করছে। এই ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো শুধু মানসিক চাপ সৃষ্টি করেনি, বরং রূপালী গাঙ্গুলীর ইমেজকেও নষ্ট করেছে।”
অভিযোগ ও অভিযোগের তরঙ্গ
রূপালী গাঙ্গুলী তার বয়ানে উল্লেখ করেছেন যে, সামাজিক মিডিয়ায় এমন অভিযোগ শুনে তিনি অবাক হয়েছিলেন এবং এ কারণে গভীর মানসিক যন্ত্রণা ভুগছেন। তিনি জানান, শো এর সেটে এই অভিযোগের কারণে তাকে অপমানিত হতে হয়েছে। সেইসাথে, তিনি দাবি করেছেন যে, অশ্বিন ও তার ১১ বছরের পুত্রকে এই পরিস্থিতির মধ্যে তোলার পরই তিনি ইশার কাছে অবিলম্বে অপ্রত্যাশিত দুঃখ প্রকাশের দাবি করেছেন।
সৎকন্যার দৃষ্টিকোণ
অন্যদিকে, ইশা গাঙ্গুলী এবং অশ্বিন ক. বর্মা সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেছেন যে, রূপালী একবার তার মায়ের উপর শারীরিক আক্রমণ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে, অশ্বিনও অত্যাচারী ছিলেন। ইশার এই আক্রমণগুলো তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের দিকে ইঙ্গিত করে, যা সিনেমা ও টেলিভিশন শিল্পের বাস্তবসম্মত চিত্র তুলে ধরে।
অভিনেত্রীদের মঞ্চ: বলিউডের অন্ধকার দিক
এই নাটক বলিউডের সেলিব্রিটিদের ভিতরের সম্পর্ক, কলহ এবং মানসিক চাপের বাস্তবতাকে কিভাবে তুলে ধরে, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সুযোগ দেয়। প্রকাশনা জগতের বিচ্ছিন্নতা এবং দর্শকদের মনোভাব এই ধরনের অনিয়মের প্রসারের মূল কারণ। গাঙ্গুলীর স্টেটমেন্ট এবং ইশার অভিযোগ আমাদের সমাজের একটি ভয়ঙ্কর দিক তুলে ধরে, যেখানে ব্যক্তি ও সম্পর্কের সামঞ্জস্য হারিয়ে যাচ্ছে।
শেষ কথা: বলিউডের সাহসী নায়ক-নায়িকার সত্য ও কলঙ্ক
এমন পরিস্থিতিতে, আমরা বুঝতে পারি যে বলিউডের তারকা-তারকারা শুধু পর্দায় যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেন, তা বাস্তব জীবনে কতটা কঠিন হতে পারে। পরিবারের মধ্যে কলহ এবং মিডিয়া ট্রলিংয়ের কারণে তারা নিজেদেরকে অনেক সময় ঘটে যাওয়া অপমানকর অবস্থায় পড়তে বাধ্য হন। আসল জীবনের এই গল্পগুলো, যেগুলো আপনাকে ভাবতে বাধ্য করে, এগুলো আজকের বলিউডের একটি চিত্র তুলে ধরছে।