“ব্রাত্যবাবুর অভিযোগ: কেন্দ্রের ১২০০ কোটি টাকার বকেয়া, শিক্ষার ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?”

NewZclub

“ব্রাত্যবাবুর অভিযোগ: কেন্দ্রের ১২০০ কোটি টাকার বকেয়া, শিক্ষার ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?”

শনিবার ব্রাত্যবাবুর অভিযোগে প্রকাশিত হলো কেন্দ্রের নীতির মুখোশ—শিক্ষা ও মিড ডে মিলের ১২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক এই অবস্থায় সরকারের অনীহা যেন আমাদের প্রাপ্যতার প্রতি তাচ্ছিল্য; অর্থের অভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। একটি সমাজের উন্নতি যেখানে টাকা আর বিবেকের সাথে সম্পর্কিত, সেখানে খরচের হিসেবে কীভাবে দুই বিভাজন তৈরি হয়, তা ভেবে দেখা উচিত।

“ব্রাত্যবাবুর অভিযোগ: কেন্দ্রের ১২০০ কোটি টাকার বকেয়া, শিক্ষার ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?”

  • কুণালের নতুন বিস্ফোরক পোস্ট: রাজনীতির মোড়ে ‘হলুদ’ সত্যের সঙ্গে দর্শনে সমাজের মানচিত্রে ঘটছে পরিবর্তন! – Read more…
  • “খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে জঙ্গিরা, শাসন ব্যবস্থার ধূসর ছায়া: নিরাপত্তার নামে সামাজিক বিশ্বাসের ভিত্তি কি ভেঙে গেছে?” – Read more…
  • “ময়দানের রাজনীতির শুদ্ধতার আকাঙ্ক্ষায়: সিপিএম-বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া আন্দোলন কি আসলে ‘অরাজনৈতিক’?” – Read more…
  • সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ-অভিজিতের ফোনে চাঞ্চল্যকর তথ্য: রাজনীতির অন্ধকারে নতুন বিতর্কের জন্ম! – Read more…
  • শাসনের অন্ধকার: ২২০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে সরকারের প্রকল্পের টাকা পাচারের ঘটনা, জনগণের আস্থা হারাতে শুরু করেছে কি ক্ষমতাসীনরা? – Read more…
  • শিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ: বকেয়া ১২শ’ কোটি টাকা

    শুক্রবার, বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রের কাছে সর্বশিক্ষা মিশন এবং মিড ডে মিলের জন্য ১২শ’ কোটি টাকার বরাদ্দ বাকি রয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, “এই টাকা আমাদের ন্যায্য দাবি। কেন্দ্রের সরকার কি আমাদের পাশে আছে, নাকি তাদের দৃষ্টি আমাদের দিকে ফিরে আসবে? সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে।”

    শিক্ষার পরিবেশ: একটি মারাত্মক উদ্বেগ

    কেন্দ্রের দ্বারা শিক্ষার জন্য নির্ধারিত অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী বঞ্চিত হচ্ছে, যার ফলে তাদের শিক্ষাজীবন এবং মিড ডে মিলের আওতাধীন পুষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্রাত্যবাবু এই পরিস্থিতিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।

    জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া: সচেতনতার ছোঁয়া

    এ সমস্যা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্কুলগুলোর সামনে অনুষ্ঠিত জনসভায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য সোচ্চার হচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে: “রাজনীতি কি সত্যিই আমাদের শিক্ষার দিকে নজর দিচ্ছে?” যদি কেন্দ্রীয় সরকার গান্ধীজির শিক্ষার এবং খাদ্যের নীতি অনুসরণ না করে, তবে জনগণের স্বার্থ কোথায়?

    রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে নৈতিকতা: একটি কঠোর সমালোচনা

    বর্তমান সরকারের সাফল্য কি আসলেই সাফল্য, নাকি এটি কেবল বিজ্ঞাপনের পশ্চাদপটে একটি কল্পকাহিনী? ব্রাত্যবাবুর উক্তি রাজনৈতিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিবাদ। তাকে একটি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বক্তৃতা দিতে নয়, বরং সমস্যার মূল কারণগুলোর সমাধানে দায়িত্ব নিতে হবে।

    শেষ কথা: শিক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা

    ব্রাত্যবাবুর বক্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুশাসনের অভিন্ন অংশ। এটি নগর কিংবা গ্রামে সমানভাবে প্রযোজ্য। সেই ভবিষ্যৎকে ধরে রাখতে আমাদের কি শেখার আগ্রহ আছে? প্রশ্নটি গভীর এবং আমাদের جميعের জন্য চিন্তার। হতাশা থেকে উন্মাদনা পর্যন্ত আমাদের এই যাত্রায় আমরা কি কেবল দর্শক, না কি অংশগ্রহণকারী?

    মন্তব্য করুন