বিগ বস ১৮ তে সারার আর্ফিন খান-এর অস্বাভাবিক আচরণের কারণে নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমান বলিউডের তারকাদিগদের আন্তঃসম্পর্কের আরো একটি দিককে সামনে এনেছে। তার সহশিল্পীদের সাথে সহিংস আচরণের ফলে রাজীব আদাতিয়া এবং দেবোলিনা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন যে, দাম্পত্য জীবনে জীবন কোচের প্রয়োজন। এই ঘটনার মাধ্যমে শোয়ের দর্শকেরা একটি গুরুতর প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন – বিনোদনের নামে যে সহিংসতা বিদ্যমান, তা কি আসলে সমাজকে ক্ষতি করছে?
শৃঙ্খলার টানাপোড়েন: বিগ বস ১৮- এ সারা আরফিন খানের সহিংস আচরণ
বিগ বস ১৮-এ টেলিভিশন জগতের অনেক তারকা হাজির হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে অন্যতম সারা আরফিন খান। সাবেক এই অভিনেত্রী তার জীবনযাত্রার কোচ আরফিন খানের সঙ্গে বিবাহিত। সম্প্রতি, তাদের আচরণ কারণে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিগ বসের সাবেক প্রতিযোগী রাজীব আদাতিয়া এবং দেবলিনা ভট্টাচার্যী অপর প্রতিযোগীদের সমর্থনে এসেছিলেন এবং সারা আরফিন খানের অশোভন আচরণকে লক্ষ্য করে এক যুদ্ধবিগ্রহে জড়িয়ে পড়েন।
রাজীব আদাতিয়ার কঠোর মন্তব্য
রাজীব আদাতিয়া তার সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সারা আরফিন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেন। তিনি উল্লেখ করেন যে সারা অভিনেত্রী ঈশা সিংয়ের চুল টেনে ধরেন এবং অভিনেতা অবিনাশ মিশ্রার ওপর নখ দিয়ে আক্রমণ করেন। রাজীব বলেন, “সারা, গম্ভীরভাবে বলছি, তোমার আচরণ উচিত ছিল না! তুমি হতাশ, রুষ্ট যাই হও, দ্রম্নত তত্ত্বের দিকে যেতে হবে! সবাইকে আক্রমণ করতে চাই না!”
দেবলিনা ভট্টাচার্যের চতুর মন্তব্য
দেবলিনা এ বিষয়ে কোনো লিখিত মন্তব্য না করলেও, Khans দম্পতির পেশা নিয়ে টুইট করেন এবং বলেন, “স্পষ্টতই, স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কে কোচিংয়ের প্রয়োজন।” তবে, তাদের এই মন্তব্য থেকে সারা এবং তার স্বামীর আচরণে তাদের দায়িত্ব রয়েছে কি না, তা নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে।
পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার জনিত ভয়
সারা আরফিন খান যখন তার খেলায় যাওয়ার সন্দেহ করতে শুরু করেন তখন তিনি অশান্ত হয়ে পড়েন এবং ঈশার এবং অবিনাশের ‘বন্ধুত্ব’ নিয়ে সহিংস হয়ে উঠেন। ঘটনাটি বিগ বস পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হতবাক করে দেয় এবং কেউ কেউ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। সারা’র এই আচরণ যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করে, কারণ বিগ বসে শারীরিক সহিংসতা নিষিদ্ধ।
সামাজিক প্রভাব এবং দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গি
বিগ বসের এই সহিংস ঘটনাটি বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতির একটি গভীর ছবি তুলে ধরে। চলচ্চিত্র শিল্পের Dynamics, অভিনেতাদের অভিনয় দক্ষতা এবং এই ধরনের ঘটনা ব্যক্তি-মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে। দর্শকরাও এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডকে অনুমোদন করছেন না, যা শিল্পীর অবস্থান এবং সামাজিক বিনোদনের প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
উপসংহারে, বিগ বস ১৮-এ সারা আরফিনের প্রথাগত ব্যবহারে কি আদর্শের অভাব?
এই ঘটনাটি চলচ্চিত্র শিল্পের এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে নতুন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। দর্শকদের কি এখন এই ধরনের আচরণকে সঠিক মনে হচ্ছে? সারা আরফিন খানের এই আচরণ ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং দর্শকদের মনে সাংস্কৃতিক এবং মানসিকতার স্বাস্থ্যের ওপর বড় কমপ্লেক্স নিয়ে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রবণতার সমালোচনা এখানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।