বর্তমানের বলিউডে রাশমিকা মন্দান্নার কাজের ব্যস্ততা ও প্রতিশ্রুতি সত্যিই নজরকাড়া। ‘পুশ্পা ২’ এবং ‘সিকান্দার’ নিয়ে তার ডাবল শিফটের কাজ সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি তৈরি করছে, যেখানে পারফরম্যান্সের অঙ্গনে কলাকুশলীদের তুলনায় শ্রোতাদের প্রত্যাশা বাড়ছে। সালমান খানের সঙ্গে দুটো গান এর মাধ্যমে সিনেমাটির গ্র্যান্ড স্কেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা চলচ্চিত্রের ভুবনে নতুন ঢেউ আনতে পারে। দর্শকদের আলাদা গল্পের সন্ধান, আর অভিনেত্রীদের পরিশ্রমের মধ্যে সমাজের বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছে; রাশমিকার মতো শিল্পীদের প্রতিশ্রুতি বলিউডের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
বলিউডের দৈনিক বিজড়িত জীবন: রশমিকার সংগ্রাম
রশমিকা মন্দান্না বর্তমানে তাঁর ক্যারিয়ারের একটি দুর্দান্ত এবং ক্লান্তিকর পর্যায়ে রয়েছেন, যেখানে তিনি দুইটি মহৎ প্রকল্পের উপর কাজ করছেন। তিনি ‘পুষ্প: দ্য রুল’ এবং ‘সিকান্দার’ ছবির জন্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে অবিরত কাজ করছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, “রশমিকা সকালে পুষ্প: দ্য রুলের শুটিং করছেন এবং তারপর সরাসরি রাতে সিকান্দারের জন্য শুটিং করছেন। তিনি গত কয়েকদিন ধরে এই ব্যস্ত সময়সূচী পরিচালনা করছেন, উভয় প্রকল্পকে সমস্ত মনোযোগ দিয়ে একসাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্যিই প্রশংসনীয়।”
বলিউডে রশমিকার সাম্প্রতিক কান্ড-কারখানা
পূর্বে রিপোর্ট হয়েছে যে রশমিকা হায়দ্রাবাদে সালমান খানের সাথে শুটিং করছেন। নতুন শিডিউলে খান এবং মন্দান্না দুজনেরই বিশেষ গানগুলি শুটিং করা হবে। এই গানগুলি বৃহৎ সঙ্গীত সংখ্যা হিসেবে উপস্থিত হবে, যা তাদের রসায়ন এবং ছবির আকারকে তুলে ধরবে।
রশমিকা আবারও তাঁর প্রিয় চরিত্র শ্রীভ্যালি হিসাবে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, যা প্রত্যাশিত পুষ্প: দ্য রাইজ – পার্ট ০১ এর সিক্যুয়েলে। ভক্তরা আবার সেই চরিত্রটিকে প্রাণবন্ত করতে দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ছবিটি ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ছবির নায়ক অল্লু অর্জুন এবং ফাহাদ ফাসিল, পরিচালনা করছেন শূকর।
নতুন যুগের বলিউড: পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ
এদিকে, সিকান্দার, যেটি পরিচালনা করছেন এ আর মুরুগাদোস, ২০২৫ সালে ঈদে মুক্তি পাবে। সালমান খানের সাথে এটি রশমিকার প্রথম প্রকল্প। বলিউডের গল্প বলার ধারায় যে পরিবর্তন এবং দর্শকদের রুচিতে যে পরিবর্তন হচ্ছে, তা আজকাল স্পষ্ট।
রশমিকার এই কাজের চাপ এবং ত্যাগ তাকে বলিউডের গতিশীলতায় একটি নতুন প্রতীক করে তুলছে। তবে একটি প্রশ্ন ওঠে, এইসব ব্যস্ততা এবং চাহিদার মাঝে কি কখনও নিজের জন্য সময় পান তিনি? চলচ্চিত্র শিল্পের এই দিকটি প্রতিনিয়ত সমালোচনা ও রহস্য সৃষ্টি করছে।
আশ্চর্য হলেও, মিডিয়া ও সমাজের প্রভাব
বলিউডের বর্তমান টেন্ডেন্সগুলো আমাদের সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। জনগণ কেন চলচ্চিত্রগুলোকে এত গুরুত্ব দেয়, তা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং সামাজিক সমস্যা নিয়েও সিনেমাগুলো বর্তমান প্রজন্মের চিন্তাভাবনায় প্রভাব ফেলে, যা এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
রশমিকার মতো অভিনেতারা যদি তাঁদের কাজের মাধ্যমে সমাজের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারেন, তবে তা হবে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। সিনেমার গল্প বলার ধরণে পরিবর্তনের ফলে আমরা হয়তো নতুন সমাজের একটি দৃষ্টি পাব।