নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া 최근 সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ সেখানকার নতুন ছবি ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’-এর মূল হিংলিশ সংস্করণ নেই। দর্শক ও নির্মাতা হানসল মেহতার অসন্তোষ প্রকাশ করায় নেটফ্লিক্স নিশ্চিত করেছে যে একটি প্রযুক্তিগত ভুলের জন্য এই অসঙ্গতির সৃষ্টি হয়েছে। করিনা কাপূর খানের অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি ইংরেজি ও হিন্দির সমন্বয়ে নির্মিত, যা লন্ডনের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে। ছবির মূল সংস্করণ দ্রুত ভারতে উপলব্ধ হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তবে এর ফলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা ও আধুনিকা চলচ্চিত্রের গল্প বলার কৌশল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বিনোদনের নামেই প্রযুক্তির প্রতারণা: নেটফ্লিক্সের ইতর সত্তা
নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া এখন দর্শকদের এবং চলচ্চিত্র পরিচালক হানসাল মেহতার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ তারা কার্যত হাজির করেছে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’ সিনেমার মূল হিঙ্গলিশ ভার্সনটি। এই চলচ্চিত্রে করিনায়া কপূর খানের অভিনয় রয়েছে এবং এটি ৮ই নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু শুধুমাত্র হিন্দি-ডাবড সংস্করণে।
অনেক দর্শক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হতাশা প্রকাশ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছিলেন, “হাই @mehtahansal, কেন @NetflixIndia #TheBuckinghamMurders এর হিঙ্গলিশ সংস্করণ নেই? সব ব্রিটিশরা হিন্দিতে কথা বললে বেশ অস্বাভাবিক লাগে….. sigh!”
প্রতিবেদন ও সমালোচনা: সৃজনশীলতার ক্ষতি
পরিচালক হানসাল মেহতা এ পরিস্থিতিতে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন, “শুধু দেখলাম সেটু। চলচ্চিত্রের মূল সংস্করণকে সেবা থেকে বাদ দেওয়া অদ্ভুত। @NetflixIndia-কে এ বিষয়ে জানিয়েছি। আশা করি এটি শীঘ্রই সঠিক হবে,” পরিচালক টুইট করেছেন।
ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার পর, নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে বাদ পড়া হিঙ্গলিশ সংস্করণটি একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছিল এবং তারা শীঘ্রই সমস্যাটি সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হানসাল মেহতা নেটফ্লিক্সের বিবৃতির একটি স্ক্রীনশট শেয়ার করে দর্শকদের আশ্বস্ত করেছেন যে মূল ভাষার সংস্করণ অচিরেই উপলব্ধ হবে। “প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে @NetflixIndia শীঘ্রই মূল ভাষার সংস্করণ আপলোড করবে। ধন্যবাদ আপনার ধৈর্যের জন্য। এবং হ্যাঁ, একটি ডাবড সংস্করণ দেখতে বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। দুঃখিত,” তিনি লিখেছেন।
বাকিংহাম মার্ডার্স: সাংস্কৃতিক প্রতিচ্ছবি
‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’ হল একটি অপরাধ নাটক, যা লন্ডনে সেট করা, যেখানে করিনা কাপূর খানের চরিত্র একটি যুবকের হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তদন্ত করছেন। এই ছবির ইংরেজি এবং হিন্দি সংলাপের অদ্ভুত মিশ্রণ, যা আমরা হিঙ্গলিশ হিসেবে জানি, এটি আধুনিক লন্ডনের সহনশীলতাকে প্রতিফলিত করার জন্য একটি সচেতন সৃজনশীল সিদ্ধান্ত।
ছবির আরও অভিনয় করেছেন অ্যাশ ট্যান্ডন, রণবীর ব্রার এবং কিথ অ্যালেন। এটি করিনা কাপূর খানের প্রযোজক হিসেবে প্রথম কাজ, এবং এটি হানসাল মেহতার সাথে একতা কাপূরের বন্দনা মোশন পিকচার্সের একটি সহযোগিতা।
বাণিজ্যিক সফলতা ও চলচ্চিত্র শিল্পের পরিবর্তন
স্পষ্টভাবে, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে প্রযুক্তির অগ্রগতি আজকাল আমাদের বিনোদনের গুণগত মানের উপর কিভাবে প্রভাবিত করছে। সিনেমা শিল্পের অভিযোজনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তা এবং দর্শকদের প্রত্যাশার পরিবর্তন এখন আর অস্বীকার করার জায়গা নেই।
আজকের সমাজে, চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয় বরং একটি সাংস্কৃতিক দর্শন, যা সমাজের গতিপ্রবাহ ও সৃজনশীল কিনারে পরিবর্তনের ইঙ্গিত প্রদান করে। এবং আমাদের উচিত এসব পরিবর্তনের প্রতি সচেতন থাকা।