রাজনৈতিক পটভূমিতে শুভঙ্কর সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত যেন নাটকের এক অদ্ভুত বাঁক, যেখানে বিজেপি ও তৃণমূলকে একসূত্রে গাঁথার প্রতিজ্ঞা। মহিলাদের ওপর নৃশংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর কংগ্রেসের হাবিব রেজা চৌধুরীর সমর্থনে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে যেন সমাজের এই কলঙ্কিত দিকটি থেকে পালানোর এক নাটকীয় প্রচেষ্টা। তবে, সত্যিকার পরিবর্তনের জন্য নিজেদেরই প্রশ্ন করতে হবে, আমরা কোথায় যাচ্ছি?
কলকাতার রাজনীতিতে শুভঙ্করের নতুন কৌশল
বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি রাজনৈতিক পরিবেশকে গম্ভীর করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, শুভঙ্কর সরকার এক নতুন রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, বিজেপি ও তৃণমূলের উপর তিনি আক্রমণ করবেন। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ফেরার পর, তিনি হাড়োয়ায় গোঁসাইপুর প্রাথমিক স্কুলে কংগ্রেসের কর্মিসভায় যোগ দেন এবং কংগ্রেস প্রার্থী হাবিব রেজা চৌধুরীর সমর্থনে বক্তব্য রাখেন।
সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
শুভঙ্কর সরকার সমাজে চলমান ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে সতর্ক করে জানান যে, এটি একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান যে, সবাই একত্রিত হয়ে এই গুরুতর সমস্যার মোকাবেলা করুন। রাজনীতির দ্বন্দ্ব শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তবে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এর সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রাজনীতির পরিবর্তনশীল ধারায় শুভঙ্কর
রাজনীতির ক্ষেত্রে সবসময় প্রতিযোগিতা বিদ্যমান, তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এটি সম্মিলিত বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। শুভঙ্করের এই নতুন উদ্যোগ কিছুটা আশার আলো স্পর্শ করছে। তবে সমালোচকরা সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নানা মতামত প্রকাশ করছেন। তারা মন্তব্য করেছেন, “রাজনীতির মূল বিষয় হল মানুষের নিরাপত্তা। যখন সেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তখন একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলার চেয়ে সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করা জরুরি।”
মিডিয়া এবং জনতার প্রত্যাশা
মিডিয়ার প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদমাধ্যম এটি ‘নেতিবাচক রাজনীতি’ হিসেবে তুলে ধরছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতারা একে অপরকে কালিমালিপ্ত করার তাগিদে কাজ করছেন। জনগণের মধ্যে—বিশেষত যুব সমাজে—এক ধরণের হতাশা এবং বিরক্তি দেখা দিয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলছে, “এভাবে কি আমাদের স্বার্থসিদ্ধি হবে? রাজনীতি কি শুধুই ক্ষমতার যুদ্ধ?”
সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ
যদি রাজনীতি সামাজিক দায়বদ্ধতা অনুভব করে, তবেই এর উন্নতি সম্ভব। শুভঙ্করের নতুন উদ্যোগ হয়তো কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে সমালোচকরা সতর্ক করে জানান, “যদি রাজনীতি অকার্যকর হয়ে পড়ে, তবে সেটি সমাজের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে। রাজনীতির চরিত্র পরিবর্তন প্রয়োজন।” তাই, রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে প্রতিবাদের জন্ম নেওয়া অস্বাভাবিক নয়।
পরিশেষে, শুভঙ্কর সরকারের নতুন কৌশল আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ‘রাজনীতি’ কেবল একটি শব্দ নয়—এটি সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি সামাজিক পরিবর্তনের দিকনির্দেশক, যেখানে নেতারা অভিনয় করছেন এবং জনগণ পরিস্থিতির দর্শক। আশা করা যাক, একদিন তারা সকলে মিলে এই রাজনৈতিক নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে আসবে।